বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিদ্যালয়ের ভেতর ধূমপান করছেন শিক্ষক আর তা নিয়ে অভিযোগ করায় মোবাইল ফোন ভাঙচুর থেকে মারধরের পর্যন্ত অভিযোগ উঠল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকল এলাকার বিলাসপুর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ বিদ্যালয়ের ভেতরই স্টাফ রুমের মধ্যে ধূমপান করছিলেন এবং এই সময় তাকে ধূমপান করতে নিষেধ করেন বিদ্যালয়ের টিআইসি আলমগীর হোসেন। এরপরেই ধূমপান বন্ধ করা তো দূরের কথা, বরং স্কুলের টিআইসিকে প্রচণ্ড মারধর এবং পরে তার মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, বুধবার স্কুল স্টাফ রুমের ভেতরে ধুমপান করতে দেখা যায় সহ শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে। এরপর আলমগীর হোসেন তাকে বাধা দিতে গেলে উল্টে তাকেই মারধর করা হয়। এ বিষয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, “স্কুলের মাঝপথেই আমি দেখি, মোস্তাক আহমেদ নামের শিক্ষক ধূমপান করছিলেন। এরপর আমি তাকে আটকাতে গেলে তিনি মানতে চাননি বরং আমি যখন মোবাইলে ফটো তুলে তার নামে নালিশ করার কথা বলি, তখন সে উল্টে আমাকে মারধর করতে থাকে। এরপর আমার মোবাইলটি নিয়ে মাটিতে ফেলে ভেঙে দেয় ওই শিক্ষক।”
ঘটনার পর অবশ্য বিলাসপুর নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের টিআইসি, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্ব যেখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের শিক্ষাদান করা এবং তাদের জীবনে নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সেখানে উল্টে অভিযুক্ত শিক্ষকের এহেন কাণ্ড সকলকে অবাক করে তুলেছে।
তাছাড়া আইন অনুযায়ী, স্কুলের মধ্যে কিংবা ক্লাস চলাকালীন ধূমপান করা অপরাধ। এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষকের কাছ থেকেই এই কর্মকাণ্ড যে কাম্য নয়, সে বিষয়ে জানান আলমগীর হোসেন। এছাড়াও জানা যাচ্ছে পুলিশের কাছে অভিযোগের পাশাপাশি তিনি বিদ্যালয়ের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জানিয়েছে।