স্বামী, দুই পুত্রের আকস্মিক মৃত্যুতেও ভেঙে পড়েননি! রইল একদা সহ-শিক্ষিকা দ্রৌপদী মুর্মুর কাহিনী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অল্প বয়সেই মৃত্যু হয় স্বামীর। আকস্মিক ভাবেই হারান দুই পুত্রকেও। তারপরেও মাথা নত করেন নি তিনি। দুই চোখ তখনই ভিজেছিল যখন তিনি শপথ নিচ্ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল পদে। তিনি দ্রৌপদী মুর্মু। এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। এতটা সহজ ছিলনা তাঁর জীবন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে সমাজের একদম নিচু তলা থেকে আজ এই উচ্চতায় উঠে এলেন দ্রৌপদী মুর্মু।

১) ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত ছিলেন সাম্মানিক সহকারী শিক্ষক। ১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে কাউন্সিলর হন দ্রৌপদী মুর্মু।

২) ২০০০ ও ২০০৪ সালে ওড়িশার রাইরংপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হন দ্রৌপদী মুর্মু। তখন থেকেই শুরু তাঁর মূল রাজনৈতিক জীবনে পথ চলা।

৩) ২০০২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ছিলেন বিজেপির আদিবাসী মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য।

৪) ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ওড়িশায় বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১০ সালে ময়ূরভঞ্জ জেলার বিজেপি সভাপতিও করা হয় দ্রৌপদী মুর্মুকে। পাশাপাশি রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের দায়িত্বও পান তিনি। একটা সময় বিজেপির একাধিক সাংগঠনিক দায়িত্বও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু।

৫) এর পরেই আসে এক দুরন্ত সুযোগ। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হন দ্রৌপদী মুর্মু। ২০১৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন তিনি।

৬) এতদিনের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের সবচেয়ে বড় মূল্য পেলে ২০২২ সালে। এনডিএ জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন একদা স্কুলের সহ শিক্ষিকা দ্রৌপদী মুর্মু।

হার না মানা এক চরিত্র। স্বামী-পুত্রদের অকালে হারিয়ে দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই করে গেছেন। একমাত্র মেয়ে ইতিশ্রীকে নিয়ে সামলেছেন নিজের পরিবারও। আজ তিনি দাঁড়িয়ে আছেন রাইসিনা হিলস থেকে মাত্র এক কদম দূরে। ভারত কি পেতে চলেছে তার প্রথম আদিবাসী এবং দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি? এর উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২১জুলাই পর্যন্ত। কারন সেদিনই যে নির্নয় হবে কে হতে চলেছেন আগামী রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা!

Sudipto

সম্পর্কিত খবর