বাংলা হান্ট ডেস্ক :শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে চলছে সরকার। নিয়মের পরিবর্তন হচ্ছে বারবার। আবার সেই নিয়মকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে একাংশ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যকলাপ। কিন্তু সরকার সবকিছু জেনেও হয়তো কিছুটা হাত গুটিয়ে রয়েছে বলেই সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে। এমনই মনে করছে গৃহশিক্ষক দের একাংশ। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার পর বাকি সময়টুকুতে হয়তো গৃহশিক্ষকতা মনোনিবেশ করেন। কিন্তু এই নিয়ম শিক্ষা আইনের কি পরিপন্থী? তা নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু বিষয়টা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এই আন্দোলনের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত হয়তো পথ থেকে সরবেন না এই সংগঠনগুলি।
শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সরকারি কিংবা সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকরা গৃহ-শিক্ষকতা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও বহুবার সরকার এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিলেও তার আশু সমাধান যেমন হয়নি সঠিক পথে এগোতে পারেনি সেই নিয়ম। পাইপলাইনে থেকে গিয়েছিল সেই নিয়ম গুলি।
কিন্তু অভিযোগ, এরপরও কিছু শিক্ষক শিক্ষামন্ত্রীর এই নির্দেশকে গুরুত্ব না দিয়ে গৃহ-শিক্ষকতা রমরমিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এর বিরুদ্ধেই এবার তীব্র আন্দোলনে নেমেছে, গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি নামে এক সংগঠন। এর পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে গৃহ শিক্ষকদের অন্যান্য সংগঠনগুলিও। তারা বহুদিন ধরে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত রয়েছেন এবং সমস্ত জায়গা থেকে তারা ছবি এবং ভিডিও সহ অনেক তথ্য তুলে এনেছেন এমনই দাবি তাদের।
গত সপ্তাহে এই সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন জেলার ডি.আই এর কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে এবং গৃহ-শিক্ষকতা করা স্কুল শিক্ষকদের নামের লিস্ট তুলে দিয়েছেন তাঁরা।