বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পথকুকুর নিয়ে স্কুল পড়ুয়াদের সতর্ক করতে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষা দফতর। সেখানে বলা হয়েছে, রাস্তার কুকুর সম্পর্কে পড়ুয়াদের সাবধান করার দায়িত্ব এ বার থেকে শিক্ষকদেরও (Teachers) নিতে হবে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে পড়ুয়ারা কিভাবে রাস্তার কুকুর থেকে সচেতন থাকতে পারে সেই বিষয়ে সতর্ক করতে শিক্ষকদের।
শিক্ষকদের (Teachers) জন্য নয়া নির্দেশিকা
বলা হয়েছে যাতে স্কুল চত্বরে মূলত যেখানে মিড-ডে মিলের খাবার রান্না হচ্ছে, বা রাখা হচ্ছে সেখানে যাতে কুকুরের প্রবেশ আটকানো যায় তা দেখতে হবে। শিক্ষা দফতরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। স্কুল শুরুর আগে এবং প্রার্থনার পরে পড়ুয়াদের রাস্তার কুকুর নিয়ে সচেতন করবেন শিক্ষকেরা।
কী কী বিষয়ে সচেতনতা? রাস্তায় অনেক কুকুর একসঙ্গে দেখলে তাদের কিভাবে বাচ্চারা এড়িয়ে যাবে, কুকুরের সামনে দিয়ে দৌড়নো যাবে না। রাস্তায় কুকুর দেখলে অযথা তাদের ঢিল ছোড়া বা বিরক্ত করা যাবে না। কোনও কুকুর খেপে আসলে শান্ত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
অগ্রাসী কুকুরের সামনে পড়লে প্রয়োজনে পথচারীদের সাহায্য নিতে হবে। পাশাপাশি কোনও এলাকায় কুকুর বেশি হয়ে গেলে পুরসভা বা পঞ্চায়েত দফতরকে সেই বিষয়ে অবগত করতে হবে। শিক্ষকের একাংশের মতে, অনেক স্কুলে পাঁচিল না থাকায় কুকুর যখন তখন ভেতরে ঢুকে পড়ে। ফলে অনেক পড়ুয়াই ভয়ে থাকে। সেসবের বিষয়ে নজর রাখা প্রয়োজন বলে মত শিক্ষকদেরও।
শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘বহু প্রাথমিক স্কুলে পাঁচিল নেই। কুকুর, গরু, ছাগল ঢুকে পড়ে। আবার অনেক স্কুলে দারোয়ান নেই। আমরা পড়ুয়াদের সচেতন অবশ্যই করব। তবে স্কুলে পাঁচিল নির্মাণ ও দারোয়ান নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। না হলে শিক্ষকদের এ বার লাঠি হাতে কুকুরও তাড়াতে হবে।’’
আরও পড়ুন: ওনার কাছে কি সনাতন ধর্ম ‘বাজে ধর্ম’? হিন্দুদের টার্গেট করার.., মমতার ভিডিও পোস্ট করে আক্রমণ মালব্যর
একটি সূত্রের খবর, কেন্দ্র থেকে রাজ্যগুলিকে এই পথ কুকুর সচেতনতা সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর সেই নির্দেশ রাজ্যই সমগ্র শিক্ষা মিশন স্কুলগুলিকে দিচ্ছে। শিক্ষকদের একাংশের কথায়, কেন্দ্র নিজেরাই শিক্ষানীতিতে বলেছে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষা ছাড়া অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না। আবার কেন্দ্রই এসব বলছে। দিনে দিনে শিক্ষকদের দিয়ে আর কী কী করানো হবে সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।