বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে বদল এসেছে আমাদের জীবনযাত্রায়। এবার পৃথিবীর পৃষ্ঠ ও কেন্দ্রে লুকিয়ে থাকা সোনা আহরণ করতে নতুন এক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটালেন বিজ্ঞানীরা (Scientist)। গোটা পৃথিবীতেই সোনা বহুমূল্য একটি ধাতু। পৃথিবীজুড়ে সোনার চাহিদা আকাশ ছোঁয়া। প্রকৃতির অশেষ কৃপায় ভূপৃষ্ঠে মজুত রয়েছে টন টন সোনা। আর সেই সোনাই দূর করবে দারিদ্র্য।
সোনাকে কিভাবে দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজে লাগাবেন বিজ্ঞানীরা (Scientist)?
বলা বাহুল্য, পৃথিবীর পৃষ্ঠ ও কেন্দ্রে চাপা পড়ে থাকা সোনা (Gold) আহরণ মোটেও মুখের কথা নয়। এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এমন কোনও যন্ত্র আবিষ্কার করে উঠতে পারেননি, যার মাধ্যমে পৃথিবীর কেন্দ্রে থাকা সোনা উত্তোলন করা সম্ভব। একাধিক রিপোর্ট বলছে, বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে কয়েক কিলোমিটার নিচে মজুত রয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা।
আরও পড়ুন : লকআপে অকথ্য অত্যাচারের অভিযোগ! মামলা গড়াল হাইকোর্টে
বলা বাহুল্য, পৃথিবীর এই অংশে রয়েছে প্রবল পরিমাণ চাপ ও উচ্চ তাপমাত্রা। বহু যুগ ধরেই বিজ্ঞানীরা (Scientist) চেষ্টা করছেন পৃথিবীর এই অংশে চাপা পড়ে থাকা সোনার আণবিক অংশগুলিকে ভূপৃষ্ঠের কাছে নিয়ে আসার। তবে বিজ্ঞানীদের কাছে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল সোনার সাথে অন্য ধাতুর প্রতিক্রিয়া না করার ব্যাপারটি।
এখনও সাধারণ তাপমাত্রা ও পরিবেশে এই কাজ করা কার্যত অসম্ভব। এবার বিজ্ঞানীরা আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সেই অসাধ্যই সাধন করে দেখালেন। আগ্নেয়গিরির নিচে অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রায় সোনার আণবিক অংশগুলি প্রতিক্রিয়া করতে বাধ্য হয়েছে বিজ্ঞানীদের সাধনার ফলে। বিজ্ঞানীদের দাবি, সালফার যুক্ত তরল পদার্থের মাধ্যমে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা সোনায় প্রতিক্রিয়া ঘটানো সম্ভব হয়েছে।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৩০ থেকে ৫০ মাইল নিচে চাপা পড়ে থাকা সোনার আণবিক অংশগুলি তাদের স্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। একদল বিজ্ঞানী (Scientist) গোটা এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন ল্যাবে। তবে বিজ্ঞানীদের দাবি, ভবিষ্যতে এমন দিন আসতে চলেছে যখন এই পদ্ধতি ব্যবহার করে পৃথিবী পৃষ্ঠে চাপা পড়ে থাকা সোনা উত্তোলন করা সম্ভব হবে খুব সহজেই।