বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথেই বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে প্রকৃতি। মেরু প্রদেশের বরফ গলে বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্রস্তর। এই আবহেই আর্কটিক (Arctic) নিয়ে শিউরে ওঠা রিপোর্ট পেশ করলেন বিজ্ঞানীরা। সতর্ক করে গবেষকরা বলেছেন, বর্তমান হারে যদি উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাহলে এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ ৪.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে পৃথিবীর তাপমাত্রা।
আর্কটিক (Arctic) নিয়ে বিজ্ঞানীদের রিপোর্ট
বিজ্ঞানীদের কথায়, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর্কটিক (Arctic) । হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরু গবেষণা অধ্যাপক এবং গবেষণার সহ-লেখক ডার্ক নটজ সম্প্রতি বলেছেন, “আজ আমাদের পৃথিবীর মুখ থেকে সমগ্র ভূদৃশ্য মুছে ফেলার ক্ষমতা আছে। আমরা যদি এই শক্তি এবং দায়িত্ব বুঝতে পারি, তাহলে আর্কটিকের ভবিষ্যৎ আমাদের হাতে।”
আরও পড়ুন : টাটা গ্রুপের এই কোম্পানির শেয়ার তুলছে ঝড়! মাত্র ৫ বছরেই ১ লক্ষ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৭ লক্ষ
গবেষণায় (Research) দেখা গিয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে চার গুণ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে আর্কটিকের তাপমাত্রা। গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, যখন দৈনিক তাপমাত্রা চরমসীমা অতিক্রম করবে, তখন গ্রীষ্মের সময়ে বরফ শূন্য হয়ে যাবে আর্কটিক মহাসাগর। শুধু জল বা বরফের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে না এই পরিবর্তন।
আরও পড়ুন : হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে, লাগবে না এক টাকাও! শ্রেয়ার কনসার্ট টিকিটের সর্বোচ্চ দাম কত জানেন?
তাপমাত্রা বৃদ্ধির (Global Warming) ফলে ভয়ানকভাবে প্রভাবিত হবে বন, বন্যপ্রাণী এবং সমগ্র বাস্তুতন্ত্র। এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষ AI টুল ব্যবহার করে এক বছর আগে পর্যন্ত আর্কটিক সমুদ্রের বরফের পরিবর্তনের পূর্বাভাস পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ভঙ্গুর এই অঞ্চলটিকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করবে নয়া AI মডেল।
সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন বন্ধের প্রচেষ্টা যদি সর্বাত্মক হয়, তাহলে অনেকটাই এড়ানো যাবে ক্ষতি। অন্যদিকে, মার্কিন জাতীয় মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রশাসন (NOAA) কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৪ সালের আর্কটিক রিপোর্ট কার্ডে আবার দাবি করা হয়েছে, কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের পরিবর্তে তা নির্গমন করে দিচ্ছে আর্কটিক, যা আগামী পৃথিবীর জন্য এক ভয়ঙ্কর সঙ্কেত।
তবে বিজ্ঞানীরা (Scientist) জানাচ্ছেন, তাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দেশকে নিতে হবে কড়া পদক্ষেপ। এগিয়ে আসতে হবে সাধারণ মানুষকেও। ব্যবহার বাড়াতে হবে বিকল্প শক্তির। সৌর প্যানেল স্থাপন, ইন্ডাকশন ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের (EV) ব্যবহার বৃদ্ধি করে মোকাবিলা করতে হবে এই পরিস্থিতির, নয়ত অচিরেই নীল গ্রহ থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে আর্কটিক।