বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই আকাশে থাকা চাঁদ (Moon) আমাদের প্রত্যেকের কাছে এক আলাদা আকর্ষণ তৈরি করেছে। শুধু তাই নয়, চাঁদকে ঘিরে প্রচলিত রয়েছে একাধিক গল্প-কাহিনিও। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পৃথিবীর এই উপগ্রহকে ঘিরে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি, সম্পন্ন হয়েছে চাঁদে অভিযানও। তবে, এবার এমন একটি বিষয় সামনে এসেছে যেটি জানার পর রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে সবার।
পৃথিবী থেকে চাঁদ পর্যন্ত তৈরি হবে সিঁড়ি: মূলত, এবার বিজ্ঞানীরা সরাসরি পৃথিবী থেকে চাঁদ পর্যন্ত সিঁড়ি তৈরি করতে চান বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে শুনে বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হলেও এবার ঠিক এইরকমই এক প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা মোট ৩,২১,৮৬৮ কিমি দীর্ঘ সিঁড়ি তৈরি করতে চান। যাতে রোবটের মাধ্যমে সহজেই চাঁদে পণ্য পরিবহণ করা যেতে পারে। মূলত, তাঁরা চাঁদের পৃষ্ঠ এবং পৃথিবীর কক্ষপথকে একটি “লাইন” দ্বারা সংযুক্ত করতে চান।
স্পেসে সফর আরও সহজ হবে: এদিকে, জানা গিয়েছে যে, এই ধরণের প্রকল্পের ফলে স্পেস শিপমেন্টের ক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই কমতে পারে। আসলে, এই পদক্ষেপটি বিজ্ঞানীদের থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্টার্টআপ এবং পর্যটকদের জন্য স্পেসকে আরও সহজলভ্য করে তুলবে। যার ফলে যারা এর আগে এই সংক্রান্ত বিপুল খরচ বহন করতে পারত না তাদের সুবিধা হবে।
মহাকাশে পণ্য পাঠানোর বিষয়টি ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ৬০-এর দশকে যখন মহাকাশে সফর শুরু হয়েছিল, তখন কক্ষপথে ১ পাউন্ডের বস্তু পাঠাতে ৬০,০০০ পাউন্ডেরও বেশি খরচ হত। কারণ তখন প্রতিটি উৎক্ষেপণের জন্য ব্যয়বহুল নতুন রকেটের ব্যবহার করা হত।
তবে খরচ কম হতে পারে: এমতাবস্থায়, বর্তমানে ইলন মাস্কের রি-ইউজেবল স্পেসএক্স রকেটের দৌলতে এই খরচ ইতিমধ্যেই মাত্র ১,০০০ পাউন্ডে নেমে এসেছে। এমতাবস্থায়, মহাকাশে সিঁড়ি তৈরি হলে এই খরচ পৃথিবীতে শিপিংয়ের খরচের কাছাকাছি আসতে পারে।
ধারণাটি দিয়েছেন রাশিয়ান বিজ্ঞানী: মূলত, ১৮৯৫ সালে রাশিয়ান বিজ্ঞানী কনস্ট্যান্টিন সিওলকোভস্কি এই ধারণাটি দিয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, মহাকাশের এহেন সিঁড়ি পরিষ্কারও থাকবে। কারণ এটি জ্বালানি ব্যবহার করবে না। যার ফলে “স্পেস জাঙ্ক”-এর পরিমাণও বাড়বে না। তবে আসল কথা হল, বর্তমানে এটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকায় এটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।