কোরোনার ওষুধ তৈরী করতে মাঠে নামলো ৩৫টি কোম্পানি শুরু হলো ট্রায়াল

ইতিমধ্যে কোরোনার থাবায় প্রাণ হারিয়েছে বহু সাধারণ মানুষ। এখনো পর্যন্ত এই মরণ রোগের চিকিৎসার কোনো ওষুধ বের না হওয়ায়। উঠতে বসতে আতঙ্ক গিলে খাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর কোরোনার প্রকোপ গত মাস থেকেই চীন থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছিলো। আর এই পরিস্থিতিতে এক এক করে সব দেশে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় এখন তা অতিমারি রূপে ধারণ করেছে।  আর করোনাতে এখন সবাই গৃহ বন্দী।

আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাডভান্সমেন্ট ইন সায়েন্সের (এএএএস) বিজ্ঞান জার্নাল জানিয়েছে যে বোস্টন ভিত্তিক বায়োটেক ফার্ম, মোদারনা থেরাপিউটিক্স জাতীয় অ্যালার্জি ইনস্টিটিউট এবং সংক্রামক রোগের সহযোগিতায় একটি অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা পরীক্ষার মাধ্যমে তারা কোবিড -১৯ এর ভ্যাকসিন বার করার চেষ্টা করছে।

corona 222222 1

সংস্থাটি বলেছে যে তারা এই বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ভ্যাকসিন বিতরণ করার পরিকল্পনা করেছে। প্রায় 35 টি ওষুধ সংস্থাগুলি এবং ইনস্টিটিউট এই ধরণের টিকা তৈরির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চীনা চিকিত্সা কর্তৃপক্ষ জানুয়ারীর প্রথম দিকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু তারা এখনো সফল হতে পারেন নি। আর এর ফলে সারা বিশ্বে এই রোগ একটু একটু করে ছিড়িয়ে পড়ছে। মানুষের কাছে বেচে থাকাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। এই ভ্যাকসিন গুলি আবিষ্কার করার সাথে সাথেই তা বাজারে আনা সম্ভব নয়। কারণ কতগুলো পর্যায়ে এই পরীক্ষা করতে হয়। নাহলে পরীক্ষা না করে তা যদি ব্যবহার হয় তা আমাদের বিপদ ঘটাতে পারে।  প্রথম পর্যায়ে এর খাড়াপ প্রভাব এবং সুরক্ষার জন্য অনেক জন  স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনগুলির পরীক্ষা করা হয়। এটা সফল হলেই পরের ধাপে এগানো সম্ভব।

দ্বিতীয় ধাপে  বিশ্বের মহামারী আক্রান্ত অংশে বসবাসরত কয়েক শতাধিক ব্যক্তির উপর ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।  আর এই ধাপ সফল হওয়ার পরের ধাপ অন্তিম ধাপ এবং সর্ব শেষ ধাপ। তৃতীয় ধাপটি এই  রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার জন্য হাজার হাজার ব্যক্তির ওপর  পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা রাত দিন এক করে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। এবার দেখা যাক কবে তা সফল হয়।

সম্পর্কিত খবর