দুই ফোঁটা জলেই চলবে ব্যাটারি, যুগান্তকারী আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের! জানুন কবে মিলবে বাজারে

বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রাকৃতিক জ্বালানির সম্ভার কমে আসছে দ্রুত। তাই বহুদিন থেকেই বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন অপ্রচলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। কয়েকজন বিজ্ঞানী দাবি করেছে তারা এমন একটি ব্যাটারি আবিষ্কার করেছেন যা চলবে মাত্র দু’ফোঁটা জলে। এই ব্যাটারী চালানোর জন্য দিতে হবে না চার্জ। প্রয়োজন হবে না কোন বৈদ্যুতিক শক্তির। সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় এমন একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পেয়েছে। এই বিজ্ঞান পত্রিকায় গবেষণা পত্রটি প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানী আলেহান্দ্রে পৌলিন, জেভিয়ার এইবি এবং গুস্তাভ নাইস্ত্রওম। তারা এও জানিয়েছেন তাদের আবিষ্কৃত এই নতুন প্রযুক্তির ব্যাটারিটি ‘বায়ো-ডিগ্রেডেবল’।

মানব সভ্যতা যত এগিয়েছে ততই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে বিদ্যুৎ। এই বিদ্যুৎ প্রধানত পাওয়া যায় ভূপৃষ্ঠের নিচে থাকা নানা ধরনের জীবাশ্ম থেকে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান এই জীবাশ্মের চাহিদার ফলে ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে সেগুলি। তাই প্রচলিত শক্তিকে ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে বৈজ্ঞানিকরা চেষ্টা চালাচ্ছেন অপ্রচলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য। সূর্যালোক, বায়ু ও জল এই ধরনের অপ্রচলিত শক্তি থেকে বৈজ্ঞানিকরা নানা ধরনের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই যদি জলকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পাশাপাশি গবেষকরা এও দাবী করেছেন এই ব্যাটারি সহজেই মাটির সাথে মিশে যেতে পারে, এর ফলে প্রাকৃতিক বৈচিত্র রক্ষাও সম্ভব হবে এই ব্যাটারির মাধ্যমে। নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত জার্নালে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তাদের তৈরি ব্যাটারিতে দু ফোঁটা জল ঢাললেই তা কুড়ি সেকেন্ডের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। আর একবার মাত্র জল ঢাললে তা চালু থাকবে প্রায় এক ঘন্টা।

jpg 20220803 111847 0000

পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন তাদের তৈরি এই ব্যাটারী থেকে ১.২ ভোল্ট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। অর্থাৎ বর্তমানে ব্যবহৃত ঘড়ি, ক্যালকুলেটরের ব্যাটারির মতো সমতুল্য বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে এই ব্যাটারীগুলি থেকে। বৈজ্ঞানিকদের আশা আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এই ব্যাটারি বাজারে আসতে পারে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর