বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীদের একটি দল ভারতের মুন মিশন চন্দ্রযান-১ (Chandrayaan-1) থেকে রিমোট সেন্সিং ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে, পৃথিবী থেকে হাই-এনার্জি ইলেকট্রন চাঁদে জল তৈরি করতে পারে। এই গবেষণার ফলাফল নেচার অ্যাস্ট্রোনমি (Nature Astronomy) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আমেরিকার হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন যে, পৃথিবীর প্লাজমা শীটে উপস্থিত ইলেকট্রনগুলি চাঁদের পৃষ্ঠের বিভিন্ন আবহাওয়ার প্রক্রিয়াতে যোগদান করছে। তাদের মধ্যে রয়েছে শিলা এবং খনিজগুলির ভাঙ্গন বা দ্রবীভূতকরণের মতো বিষয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ইলেকট্রনগুলি চাঁদে জল প্রস্তুত করতে সাহায্য করেছিল। এখন প্রোটনের মতো হাই এনার্জির কণা দিয়ে তৈরি সোলার উইন্ড চাঁদের পৃষ্ঠে রীতিমতো বোমাবর্ষণ করছে। এটি চাঁদে জল গঠনের প্রাথমিক উপায়গুলির মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, চাঁদে দ্রুত জল উৎপাদনের প্রধান উৎস হিসেবে সোলার উইন্ডের গুরুত্ব নিশ্চিত করা হলেও এর আগে পৃথিবীর প্লাজমা শীটের অজানা বৈশিষ্ট্যও বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে, চাঁদে জলের জমা এবং বন্টনের বিষয়টি সম্পর্কে জানা তার গঠন এবং বিবর্তন বোঝার জন্য এমনকি, ভবিষ্যতের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে জলের সংস্থান উপলব্ধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নতুন আবিষ্কারটি চাঁদের স্থায়ীভাবে ছায়াযুক্ত এলাকায় পূর্বে আবিষ্কৃত জলের বরফের উৎস ব্যাখ্যা করতেও সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: আমাদেরই রাজ্যে রয়েছে ভারতের সবথেকে বড় দু’টি রেল স্টেশন! নাম জানলে হয়ে যাবেন অবাক
উল্লেখ্য যে, প্রথম ভারতীয় মুন মিশন চন্দ্রযান-১ চাঁদে জলের অণু আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সেটি ২০০৮ সালে লঞ্চ করা হয়। তার তথ্য থেকেই বিজ্ঞানীদের দলটি চাঁদ যখন ম্যাগনেটোটেলের মধ্য দিয়ে যায় তখন ভূপৃষ্ঠের আবহাওয়ার পরিবর্তনগুলি বিশ্লেষণ করেছেন। ম্যাগনেটোটেল হল এমন একটি অঞ্চল যা প্রায় সম্পূর্ণরূপে চাঁদকে সোলার উইন্ড থেকে রক্ষা করে, কিন্তু সূর্যালোকের ফোটনগুলিকে আটকায় না।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি শোচনীয়! বিদেশে কর্তব্যরত আধিকারিকদের বেতন দেওয়ার মতো টাকাও নেই কাঙাল পাকিস্তানের কাছে
এদিকে, চাঁদের পৃষ্ঠটি জলের গঠন প্রক্রিয়া স্টাডি করার জন্য একটি প্রাকৃতিক পরীক্ষাগার হিসেবে বিবেচিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাটির জন্য তথ্য সেই রিমোট সেন্সিং ডেটা থেকে মিলেছে যেটি ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ভারতের চন্দ্রযান-১ মিশনে একটি ইমেজিং স্পেকট্রোমিটার, মুন মিনারোলজি ম্যাপার যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করা হয়েছিল।