বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মশা (Mosquito), এই প্রাণীটির সাথে পরিচয় ঘটেনি এমন মানুষ বিরল। জমা জল, আর নোংরা আবর্জনার স্তূপ এই হল মশার প্রধান আড্ডাখানা। মশার প্রধান খাদ্য হল মানুষের রক্ত। তবে মশা ছোট্ট একটি প্রাণী হলেও কিন্তু এক কামড়ে কাবু হয়ে যায় বলিষ্ঠ চেহারার মানুষও।
মশার ধরণ
ছোট বেলায় কম বেশি প্রায় সকলেই পড়েছেন মশা তিন ধরনের হয়, অ্যানাফ্লেক্স মশা, কিউলেস্ক এবং এডিস (Aedes)। তবে, মশার মধ্যে মেয়ে মশা অর্থায় মশকী মানুষের রক্ত পান করে। আর ছেলে মশারা কিন্তু ফুলের রস, রঙ ইত্যাদি খেয়ে থাকে। কিন্তু আপনি তো আর খালি দেখে বিচার করতে পারবেন না, যে কে ছেলে আর কে মেয়ে মশা? তাই অগত্যা কানের কাছে গান শোনাতে আসলেই, আপনি কষিয়ে একটি চড় মেরে মশাকে চিরনিন্দ্রায় পাঠিয়ে দেন।
পরীক্ষা করলেন বিজ্ঞানীরা
তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এই গোটা পৃথিবীতে এত কিছু খাওয়ার জিনিস থাকতে মানুষের রক্ত কেন? মশা কেনই বা মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করেছেন নিউ জার্সির (New Jersey) প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তারা আফ্রিকার অ্যাডিস এজিপ্টির মশা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করে জানিয়েছেন, মশার প্রকপেই কিন্তু জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পরে। যার জেরেই মানুষ ডেঙ্গু এবং পীত জ্বর রোগে আক্রান্ত হয়।
Mosquitoes evolved to suck human blood when they couldn’t find water https://t.co/QyRIDtWRGa pic.twitter.com/dhjgz0ldd3
— New Scientist (@newscientist) July 23, 2020
ফলাফলও জানালেন তারা
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নোহ রোজ জানিয়েছেন, ‘আফ্রিকার সাব-সাহারান অঞ্চলের প্রায় ২৭ টি জায়গা থেকে এডিস এজিপ্টি মশার ডিম সংগ্রহ করা হয়। তারপর সেগুলোকে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ল্যাব বক্সে ছেড়ে দেওয়া হয়’।
মশা কেন মানুষের রক্ত খায়?
এরপর তিনি জানান, ‘পরীক্ষা করে দেখা যায়, সব মশা কিছু রক্ত খায় না। যে অঞ্চলে বেশি খরা বা উত্তাপ রয়েছে অর্থাৎ জল কম রয়েছে, সেই অঞ্চলের মশা প্রজননের জন্য আর্দ্রতার প্রয়োজন মেটাতে রক্ত পান করে। ধীরে ধীরে ঘনবসতি গড়ে ওঠায়, জলের অভাব হওয়ায় মশারা এই পথ বেছে নেয়’।