বাংলাহান্ট ডেস্ক: শিয়ালদা (Sealdah Station) স্টেশন ভারতের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশনের একটি। দিনের ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ততা লেগে থাকে এই স্টেশনে। হাওড়ার পাশাপাশি শিয়ালদা স্টেশন কলকাতার অন্যতম প্রধান একটি স্টেশন। তবে অনেকেই এই স্টেশনের নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত নন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের জানাব এই শিয়ালদা স্টেশনের নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে।
ব্রিটিশ আমলে এই স্টেশনের ডিজাইন করা হয়। সেই সময় ‘ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি’-র আওতাধীন ছিল এই স্টেশন। শিয়ালদা স্টেশনের নামকরণ সম্পর্কে নানা রকম মত প্রচলিত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত পোষণ করেছেন এই স্টেশনের নামকরণ সম্পর্কে। এছাড়াও একাধিক লেখক, সাহিত্যকরাও তাঁদের লেখায় শিয়ালদা স্টেশনের উল্লেখ করেছেন।
আরোও পড়ুন : টিকিট না কেটে ট্রেনে ওঠার জের! ১৮০ টাকা ফাইন হল ছাগলের
শিয়ালদা স্টেশন সম্পর্কে লেখক হ্যারি কটন তাঁর লেখা ‘Calcutta: Old and New’ বইতে লিখেছেন। তিনি বলেছেন, শিয়ালদাকে ১৭৫৭ সালের আগে বলা হত ‘উঁচু বাঁধানো পথ, যা পূবদিক থেকে আসছে’। ভাষাবিদ সুকুমার সেন বলেছেন, শিয়ালদা নাম এসেছে শ্যাওলায় ভরা দেহ বা শৈবাল দহ থেকে। ডিহি শুঁড়ার তার্জিয়ায় ধর্মীয় অনুষঙ্গ হিসেবে এখানে অবস্থিত একটি দহে ফেলে দেওয়া হত হাসান হোসেনের কবরের প্রতিরূপগুলি। এই শিয়ালদা নাম এসেছে শিয়া-র দহ থেকেই।
শহরের ইতিহাসবিদ পি থাঙ্কপ্পন নায়ারের মতে, প্রাচীনকালের ফাঁকা কলকাতার এই অংশগুলোতে ছিল জলাভূমি। তারমধ্যে দ্বীপের মতো কিছু জমি ছিল। অনুমান করা হয় শিয়ালদার পূর্ব নাম ছিল শিয়ালডিহি। এখানে প্রাচীন অভিধান অনুযায়ী, ‘শিয়াল’ অর্থ শিয়রে বা পূর্বদিক এবং ডিহি কথার অর্থ গ্রাম। সুতানটি-গোবিন্দপুর-কলকাতা, এই ৩টি গ্রাম নিয়ে কলকাতা শহর গড়ে ওঠার পর শিয়ালডিহি কালক্রমে শিয়ালদা হয়েছে।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…