বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অভিযোগ উঠেছে গুজরাটে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে হিন্দু তরুণীদের। মকরপুরা থানায় এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে মিশনারিজ অব চ্যারিটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, গুজরাটের বডোদরা শহরে ওই সংগঠনের যে হোম রয়েছে, সেখানে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগেও আঘাত করা হচ্ছে।
যার পরবর্তীতে, শোনা গিয়েছে তদন্তের স্বার্থে মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই কেন্দ্রকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও কেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেবিষয়ে কিছুই জানায়নি কেন্দ্র সরকার। তবে চ্যারিটির বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রায় ২২ হাজার মানুষ রয়েছেন, যাদের চিকিৎসা ও ভরনপোষণ সম্পূর্ণভাবেই ওই সংস্থার ওপর নির্ভর করে। যদি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের জীবনযাত্রায় সংকট দেখা দেবে।
এবিষয়ে জানা গিয়েছে, মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখার সন্ন্যাসিনীরা, জোর করে বাইবেল পড়তে বাধ্য করতেন হিন্দু তরুণীদের। নিরামিষভোজী ওই তরুণীদের আমিষ খেতে বাধ্য করা থেকে শুরু করে খ্রিস্টান পরিবারে বিয়ে করতে বাধ্য করছেন তাঁরা। যদিও নিজেদের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংস্থা। যদিও কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সদর দফতর মাদার হাউজ এবিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
Shocked to hear that on Christmas, Union Ministry FROZE ALL BANK ACCOUNTS of Mother Teresa’s Missionaries of Charity in India!
Their 22,000 patients & employees have been left without food & medicines.
While the law is paramount, humanitarian efforts must not be compromised.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 27, 2021
এইবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, ‘বড়দিনের উৎসবের মাঝেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার খবর শুনে আমি খুবই বিস্মিত। এরকম করলে ২২ হাজার রোগী এবং কর্মীরা খাবার এবং ওষুধ পাবেন না। আইন সবার উপরে থাকলেও, এভাবে মানবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক নয়’।