বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের বড় ধাক্কার সম্মুখীন হলেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের তথা বিশিষ্ট শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মার্কেট রেগুলেটর SEBI (Securities and Exchange Board of India) আদানি গ্রুপের ৬ টি কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। ওই নোটিশে কোম্পানিগুলিকে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্তির নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
SEBI-র নোটিশ অনুসারে, ওই সংস্থাগুলির রিলেটেড পার্টি ট্রানজাকশনের নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রিলেটেড পার্টি ট্রানজাকশনের সাধারণত এমন কোম্পানিগুলির মধ্যে ঘটে যেগুলির একটি পূর্ব-বিদ্যমান ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বা তাদের বিজনেস কমিটমেন্ট প্রায় সমান হয়।
গ্রুপের এই কোম্পানিগুলি নোটিশ পেয়েছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, SEBI আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেসকে ২ টি নোটিশ পাঠিয়েছে। এছাড়াও আদানি পোর্টস এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোন, আদানি পাওয়ার, আদানি এনার্জি সলিউশনস, আদানি উইলমার এবং আদানি টোটাল গ্যাসকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবারে খোঁজ মিলবে এলিয়েনের? পৃথিবীর সাথে ধাক্কা রহস্যময় লেজারের! চরম খুশি বিজ্ঞানীরা
এদিকে, আদানি এন্টারপ্রাইজের প্রাপ্ত ২ টি নোটিশ সম্পর্কে, সংস্থাটি বলেছে যে তাদের লিগ্যাল এক্সপার্টদের মতে, এই নোটিশগুলি কোম্পানির ওপর খুব কম প্রভাব ফেলবে। SEBI-র নির্দেশে, গ্রুপের ওই কোম্পানিগুলির কাছ থেকে কিছু লেনদেনের বিবরণ চাওয়া হয়েছে। যা তাদের আর্থিক বিবৃতিতে প্রতিফলিত হয়নি। এমতাবস্থায়, আদানি গ্রুপের তরফে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: ভেঙ্কটেশের বদলে এই প্লেয়ার, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দল বদলাবেন শ্রেয়স! রইল KKR-র সম্ভাব্য একাদশ
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের সাথে কি কোনো সম্পর্ক আছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত বছর আমেরিকান শর্ট সেলার কোম্পানি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে, SEBI আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল। পাশাপাশি, গত অগাস্টে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট SEBI জমা দেয়। সেখানে SEBI-র তরফে ১৭ টি রিলেটেড পার্টি ট্রানজাকশনের তদন্ত করা হয়েছে। যেগুলি হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে উদ্ধৃত করা ছিল। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে গৌতম আদানি ভারতের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে জমা গিয়েছে যে, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ হল ৯৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।