বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সফলভাবে আয়োজিত হলো শ্যামনগর ইস্টবেঙ্গল লাভার্স ফ্যানক্লাব আয়োজিত ফুটবল ফেস্ট। সকাল থেকে প্রভাতী সংঘের মাঠে দেখা গিয়েছিল কর্মব্যস্ততার চিত্র। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সূচনা হয় ছয়টি দল নিয়ে আয়োজিত এই ফুটবল টুর্নামেন্টের। বেশকিছু হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের পর সন্ধ্যা ৫.৩০ নাগাদ ফাইনালের পেনাল্টি শ্যুট আউটে সৃজন ভট্টাচার্য্যর উইনিং পেনাল্টিতে ভর করে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয় এবারে প্রথম এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা দল ‘এসইবিএল ঈগলস’। গত বছরের চ্যাম্পিয়ন ‘এসইবিএল টাইগার্স’-দের হারিয়ে ট্রফি নিজেদের দখলে নেয় তারা।
তবে ‘এসইবিএল ঈগলস’ টুর্নামেন্ট জিতলেও গোল্ডেন বুট এবং ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট সহ বেশ কিছু ব্যক্তিগত পুরস্কার জিতে নেয় রানার্স আপ হওয়া ‘এসইবিএল টাইগার্স’-এর ফুটবলাররা। ৬৬ জন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ৬টি দলে আগেই নিলামের মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছিলেন দলগুলির অফিসিয়ালরা। ৬টি দল নিয়ে আয়োজিত ৯ ম্যাচের এই টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বীতা এতটাই বেশি ছিল যে বেশিরভাগ ম্যাচই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়নি। ফাইনাল এবং দুটি সেমিফাইনালের ফলাফল পেনাল্টি শ্যুট আউটের মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হয়। সবচেয়ে বেশি গোল করার জন্য গোল্ডেন বুটের পুরস্কারটি ওঠে রানার্স-আপ “এসইবিএল টাইগার্স” দলের ফরোয়ার্ড দেবমাল্যর হাতে। যদিও ফাইনালে পেনাল্টি শ্যুট আউটে পেনাল্টি মিস করে দলের হারে কিছুটা দায় রয়ে গিয়েছিল তারও।
ফাইনালে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন দল ঈগলসের স্টপার শুভম বোস। তবে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার নিয়ে যান টাইগার্সের হয়ে প্রতি ম্যাচেই ভালো পারফরম্যান্স করা ঋত্বিক মুখার্জি। দুর্দান্ত ডিফেন্ডিং ও কিছু পেনাল্টি শ্যুট আউটে প্রশংসাজনক পারফরম্যান্স করে ২বার ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। টাইগার্সের টিম ডাইরেক্টর সায়ন্ত মুখার্জি সেরা টিডি-র সম্মানটি পেয়েছিলেন। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছনো ‘এসইবিএল কিংস’-এর হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করা গোলরক্ষক দেবরাজ ভট্টাচার্য। এছাড়া সেরা ম্যানেজার ও সেরা মেন্টরের পুরস্কারটি ওঠে ঈগলসের সুরজ সাহা ও পায়াল রায়ের হাতে।
সফল হবে গোটা অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করার পর উদ্যোক্তা সহ ফাইনাল খেলা দুই দলের অধিনায়কের ইস্টবেঙ্গলের প্রতি বার্তাটা ছিল একইরকম। দলের খারাপ সময় তারা লাল হলুদ শিবিরের পাশে থেকে যাবেন ঠিকই। কিন্তু বেশকিছু সঠিক পদক্ষেপ এখনো নিতে পারেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা যা তারা এখনো করে দেখেননি। ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের সমগ্র ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের তরফ থেকে সেই সঠিক পদক্ষেপ গুলি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েই টুর্নামেন্টের যবনিকা পতন হয়।