বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি মাসেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা। এবছর মাধ্যমিক দিচ্ছেন মোট ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী। প্রত্যেক বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তাঁদের জন্য পরীক্ষায় অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার্থীদের জন্য আরও কড়া পর্ষদ
নজরদার শিক্ষকদের অভিযোগ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বাড়তি সময় দেওয়ায় তা নিয়ে অনেক অভিভাবকদের মধ্যেই তৈরী হয়েছে সংশয়। অনেকেই এই বাড়তি সময় দেওয়ার সঠিক কারণ জানেন না।
শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ এই অতিরিক্ত সময়ের সুযোগ নিয়ে কোনও কোনও পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বন করছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে, এমন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলছেন, নজরদার শিক্ষকদের অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট ঘরে থাকতে হয় বলেই তাঁরা এমন অভিযোগ আনছেন।
আরও পড়ুন: এখন নির্বাচন হলে কার দখলে যেত বাংলা? তৃণমূল নাকি বিজেপি, কার পাল্লা ভারী?
অতিরিক্ত সময় দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষকেরা বলছেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা অন্য ‘রাইটার’ নিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর লেখেন। এই কারণে তাদের জন্য অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকে। নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থী রাইটারদের প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়, আর সেই উত্তর শুনে তারা খাতায় লেখে। কিন্তু অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, রাইটাররা নাকি নিজের মতো উত্তর লিখছেন।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ঘোষ এপ্রসঙ্গে অবশ্য যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘সব সময় নিচু ক্লাসের পড়ুয়ারাই রাইটার হয়। তাই তাদের পক্ষে মাধ্যমিকের সব খুঁটিনাটি জানা সম্ভব নয়। তার পরেও অভিযোগ ওঠে, রাইটার নিজের মতো লিখে যাচ্ছে। এর ফলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যে সব ছাত্রছাত্রী সৎ উপায়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের বঞ্চিত করা হয়।’ অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘কোথাও এই ধরণের অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার কাজে যুক্ত শিক্ষকদের পর্ষদকে জানাতে হবে।’