ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট সিকিউরিটি গার্ডের মেয়ে! কুর্নিশ boAt কর্ণধারের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাবা নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন। সেই বাবার মেয়ে স্নাতক পাস করলেন ব্রিটেন থেকে। সিকিউরিটি গার্ডের মেয়ে ধনশ্রী’র এই অভাবনীয় সাফল্যে চমকে গেছে গোটা দেশ। বলিউডের অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা থেকে শুরু করে ইসা গুপ্তা, বোট স্পিকারের কর্ণধার আমান গুপ্তা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই তরুণীকে।

দিল্লির বাসিন্দা ধনশ্রী’র বাবাকে শুনতে হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের কটাক্ষ। “সামান্য সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করো, মেয়েকে বিদেশে পড়ানোর স্বপ্ন দেখা তোমার চলে না,” এই ধরনের হাজারো কটুক্তি সইতে হয়েছিল এই বাবাকে। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে এই সিকিউরিটি গার্ডের মেয়ে ব্রিটেন থেকে MS উত্তীর্ণ হয়ে ফিরলেন দেশে।

আরোও পড়ুন : আম্বানির বিয়েতে চুরি গেল জাকারবার্গের স্ত্রীর গয়না! সাড়ে তিন ঘণ্টা তল্লাশির পর যা হল …

আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই বাস্তবের সুপারহিরো হলেন আমাদের বাবারা। নিজেদের সবটুকু দিয়ে সন্তানকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পিছ পা হন না কোনও বাবা। ধনশ্রীর বাবা মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে সামান্য সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেও বিদেশে পাঠিয়েছিলেন পড়াশোনা করাতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ধনশ্রী ছোটবেলা থেকেই ছিলেন পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী।

আরোও পড়ুন : চরম দারিদ্র্যতায় জীবন দুর্বিষহ! ফুটবল ছেড়ে টোটো চালাচ্ছেন বাংলার আদিবাসী তরুণী

তবে ধনশ্রীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাই পরিবারকে সাহায্য করার জন্য ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ধনশ্রী একাধিক কোম্পানিতে কাজ করেছেন। তবে ধনশ্রীর স্বপ্ন ছিল বিদেশে পড়তে যাওয়া। মেয়ের স্বপ্নপূরণের জন্য দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে গেছেন ধনশ্রীর বাবা। বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য ধনশ্রী ঋণের আবেদন করেন ব্যাংকে।

ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর ধনশ্রী বিদেশে পাড়ি দেন পড়াশোনার জন্য। ব্রিটেনে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খরচ চালানোর জন্য ধনশ্রী পার্ট টাইম কাজও করতেন। সম্প্রতি একটি ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে। এই ক্লিপে দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি লাভ করে চোখে জল নিয়ে সবার মুখ উজ্জ্বল করেছেন ধনশ্রী।

এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ধনশ্রী লিখেছেন, “আমায় বিশ্বাস করার জন্য বাবা তোমায় ধন্যবাদ। যারা বলেছিলেন আমার বাবাকে যে আপনি তো একজন সিকিউরিটি গার্ড, কীভাবে মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাবেন? এটা তাদের জন্য। আমার বাবা আমার জীবনের লাইফ গার্ড।” এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই মন ছুঁয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর