কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমোচ্ছেন শিক্ষক, পড়ুয়ারা পরিস্কার করছেন স্কুল! ভিডিও ভাইরাল হতেই কড়া ব্যবস্থা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিদ্যালয় (School) মানে আমরা বুঝি শিক্ষা মন্দির। সেখানেই তৈরি হয় দেশের ভবিষ্যৎ। আর এই ভবিষ্যৎ গড়ার কান্ডারি হলেন শিক্ষক (Teacher)। কিন্তু সেই শিক্ষকই যদি নিদ্রাদেবীর আরাধনায় ব্যস্ত থাকে এবং পড়ুয়াদের হাতে খাতা কলমের বদলে থাকে ঝাঁটা, তবে কি ভবিষ্যৎ তৈরি হবে? সম্প্রতি এমনই এক চিত্র দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরের একটি সরকারি প্রথমিক স্কুলে।

সমাজমাধ্যমে হুহু করে ভাইরাল (Viral) হয়েছে সেই ভিডিও (Video)। ভাইরাল এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ফাঁকা ক্লাসঘরের মেঝেয় টান টান হয়ে ‘নাক ডেকে’ ঘুমোচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। এদিকে ক্লাসরুম ফাঁকা। ইতি উতি ছড়িয়ে রয়েছে ব্যাগ বইপত্র। যদিও বাংলা হান্টের তরফ থেকে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি, তবে নেটিজেনদের দাবি ভিডিওটি মধ্যপ্রদেশের।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই কটাক্ষের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। ইতিমধ্যেই তা পৌঁছে গেছে শিক্ষা দফতরে। সেখানে পৌঁছাতেই বিষয়টি খতায়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। জানা গেছে ছতরপুর জেলার লবকুশনগরের একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের এই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেছেন গ্রামবাসীরাই। তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, স্কুলে একেবারেই পড়াশোনা হয়না। আর এইদিন তা হাতে নাতে ধরেও ফেলেন।

স্থানীয়রাই এইদিন স্কুলে যেতেই দেখেন, পড়ুয়ারা স্কুল চত্বর পরিষ্কারে ব্যস্ত। কচিকাঁচারা যখন স্কুল চত্বর পরিষ্কার করছিল, সেই সময় প্রধান শিক্ষক ক্লাসঘরের ভিতর পড়ুয়াদের ব্যাগগুলিকে বালিশ করে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিলেন। ঘটনাটি দেখা মাত্রই ক্যামেরাবন্দি করে নেন তারা। এবং তড়িঘড়ি পৌঁছে দেন শিক্ষা দফতরের কাছে।

পঠনপাঠন শিকেয় তুলে প্রধান শিক্ষক এ ভাবে ঘুমানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অভিভাবকরাও। পাশাপাশি দায়িত্বে গাফালতির জন্য ঐ শিক্ষকের কড়া শাস্তিরও দাবি তুলেছেন তারা। এদিকে শিক্ষা দফতরও বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জানা গেছে, প্রধান শিক্ষকের নাম রাজেশ কুমার আদজারিয়া।

এই প্রসঙ্গে জেলা শিক্ষা আধিকারিক এম কে কৌতারির কাছে পৌঁছালে তিনি বলেন, “লবকুশনগরের একটি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের ঘুমিয়ে থাকার ভিডিয়ো দেখেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষকের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।”

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর