বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভিনগ্রহী তথা এলিয়েনদের (Alien) সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলেই। এমনকি, তাঁদের সন্ধান এবং উপস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বছরের পর বছর ধরে গবেষণায় লিপ্ত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝেমধ্যেই এলিয়েনদের উপস্থিতি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায়। এমনকি, অনেকে তো আবার এলিয়েন স্বচক্ষে দেখেছেন বলেও দাবি করতে থাকেন। পাশাপাশি, UFO নিয়েও সেই একই জল্পনা জারি রয়েছে।
ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই এবার রাতের আকাশে এক রহস্যময় গোলাপী আলো দেখে ফের এলিয়েন সংক্রান্ত প্রশ্নের ঝড় শুরু হয়েছে। শুধু, তাই নয়, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, রীতিমতো সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন মানুষ। জানা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার এক গ্রামীণ এলাকায় গভীর রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে ওই আলো। এমতাবস্থায়, ভিক্টোরিয়ার মিলডুরায় এই রহস্যময় আলো দেখে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পাশাপাশি, তাঁরা মনে করেছিলেন যে, নির্ঘাত কোনো বিপর্যয় ধেয়ে আসছে অথবা পৃথিবী ধ্বংস হতে চলেছে। যদিও, সেই সময়ে রোজি হেইস নামে এক মহিলা ভয় না পেয়ে আলোর উৎসের কাছে যান। তারপরেই জানা যায় আসল তথ্য। যেটি জানার পর স্তম্ভিত হবেন আপনারাও। রোজি হেইস জানান, তাঁর মা তাঁকে ওই আলোর কথা জানাতে ফোন করেছিলেন।
পাশাপাশি, তাঁর সন্তানেরা ওই আলো দেখে খুব ভয় পেয়ে যায়। তাই উনি ওই আলো কোথা থেকে আসছে তা খুঁজে বের করার জন্য রওনা দেন। এমনকি, তিনি এই আলোর ছবিও প্রকাশ্যে এনেছেন। এদিকে, এই ছবিটি দেখে কেউ কেউ সেখানে UFO থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন এবার কেউ কেউ উল্কাপিণ্ডের উপস্থিতির কথাও জানিয়েছেন। যদিও, রোজি সেখানে গিয়ে শুধুমাত্র একটি গাঁজার ক্ষেত দেখতে পান।
গাঁজার চাষ হচ্ছিল: এই প্রসঙ্গে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, রোজি জানান, “আমি আমার গাড়িতে যাচ্ছিলাম এবং আমার মা ফোনে ছিলেন। তখন বাবা পেছন থেকে বললেন যে তিনি তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছেন। কারণ পৃথিবী শেষ হতে চলেছে।” এদিকে, অন্য এক স্থানীয় মহিলা জানিয়েছেন যে, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন এটি গোলাপী চাঁদের আলো। কিন্তু পরে লক্ষ্য করেন ওই আলো নিচ থেকে ওপরে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, ওই আলোর উৎসে পৌঁছনোর পরে, দেখা যায় যে, সেটি একটি গাঁজার ক্ষেত ছিল। যা থেকে ওষুধ তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, ওই ক্ষেতটি ক্যান ফার্মাসিউটিক্যালসের অন্তর্গত। যেটি একটি বন্ধ এলাকায় চাষ করা হয়। সর্বোপরি, বাণিজ্যিক গোলাপী LED লাইট এই গাছের বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা হয়।
ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এগুলি: এমতাবস্থায়, রাতের আকাশে ওই আলো দেখেই চমকে যান সকলে। উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে, অস্ট্রেলিয়ায় এই গাঁজা বৈধ ঘোষণা করা হয়। মূলত, এটি অনেক ওষুধে ব্যবহৃত হয়। তবে, নিছকই মজা করার জন্য এই ওষুধ খাওয়া আবার অপরাধ। জানা গিয়েছে, এই ক্ষেত থেকে ওই কোম্পানি গত জুনে প্রথম ফসল প্রস্তুত করেছিল। পাশাপাশি, এখন সেটি একটি নতুন ক্যাপসুল তৈরির লাইসেন্সও পেয়েছে।