খান পরিবারে পরপর বিচ্ছেদ, ‘অন্ধকার গর্তে ডুবে যাচ্ছিলাম’, সলমনের ভাইয়ের ব‍্যাপারে বিষ্ফোরক স্ত্রী সীমা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রথমে আরবাজ খান (Arbaaz Khan) আর তারপর সোহেল খান (Sohail Khan)। কোনো ভাইয়েরই সংসার বাঁচাতে পারলেন না সলমন খান (Salman Khan)। মালাইকা অরোরা তাঁরই চোখের সামনে প্রেম করছেন অর্জুন কাপুরের সঙ্গে। এবার ছোট ভাই সোহেলেরও বিচ্ছেদ হয়ে গেল সীমার (Seema Khan) সঙ্গে। বিচ্ছেদের পর প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব‍্যও করেছেন সীমা।

এক সংবাদ মাধ‍্যমকে তিনি বলেন, তাঁর মনে হত তিনি যেন অন্ধকার গর্তে ডুবে যাচ্ছেন। সম্পর্কটা ছিল এমনি। তাঁর ভাই, বোন বা তাঁর সন্তান কারোর পক্ষেই তাঁকে ওই পরিস্থিতিতে দেখাটা সহজ ছিল না। তাই তিনি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

sohail khan seema khan
সীমা আরো বলেন, “নিজের জীবনটাকে সম্পূর্ণ ইতিবাচক দিক দিয়ে দেখছি আমি। সমস্ত নেতিবাচকতাকে বিদায় দিয়েছি। আমার মনে হয় আমি এমন একটা পর্যায়ে এসে পড়েছি যখন আমার আর কিছুই যায় আসে না। যতক্ষণ আমার আমার বাবা মা, আমার ভাই বোন, আমার সন্তানরা আমার মূল‍্য দিচ্ছে।”

কয়েক মাস আগেই মুম্বইয়ের একটি ফ‍্যামিলি কোর্টে দেখা গিয়েছিল সোহেল ও সীমাকে। সলমনের ভাই আর ভ্রাতৃবধূ যে আর একসঙ্গে থাকেন না সেটা জানা গিয়েছিল আগেই। করন জোহরের ‘ফ‍্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’ এর শোতে ছিলেন সীমা খানও। তখনি তিনি জানিয়েছিলেন, সোহেলের সঙ্গে আর এক ছাদের তলায় থাকেন না তিনি।

তবে সীমা জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে না থাকলেও তাঁরা একটা পরিবারের মতোই। তিনি, সোহেল আর দুই ছেলে এখনো একটা পরিবার। দুজনের পথ আলাদা হলেও দিনের শেষে তাঁদের খুশিই সবথেকে জরুরি সীমার কাছে।

Salman 4
দিল্লির বাসিন্দা সীমা ফ‍্যাশন ডিজাইনিং পড়তে মুম্বই আসেন। এখানেই সোহেলের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা। জানা যায়, প্রথম বার দেখাতেই সীমাকে মন দিয়ে বসেছিলেন সোহেল। দুজনে ডেটিংও শুরু করে দেন। কিন্তু বিয়েতে বাদ সাধে সীমার পরিবার।

কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র ছিলেন না সোহেল। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় তাঁর ছবি ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’। ছবির মুক্তির দিনই সীমাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে পালান সোহেল। আর্য সমাজ মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে নেন দুজনে। তখন দুই পরিবারই দুজনের বিয়েতে রাজি হয়। সোহেল ও সীমার দুই ছেলে নির্বাণ ও য়োহান।

Avatar
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর