দীর্ঘ সাত বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পরে, ২০২০ সালের ২০ শে মার্চ ভোর সাড়ে ৫ টায় নির্ভার চার অভিযুক্তকে দিল্লির তিহার কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। দিল্লীতে ৪ জন অমানুষকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে গতকাল।মুকেশ, বিনয়,পবন ও অক্ষয় নামের ৪ জন্কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। একজন অপরাধী আগেই আত্মহত্যা করেছিল অন্যদিকে মহাম্মদ আফরোজ নাবালক হওয়ার বাহানা দিয়ে ছাড়া আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছিল।
কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি। আর নির্ভয়ার প্রতি এই অবিচারে তার মার পাশে দাড়িয়েছিলেন আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা । তিনি তীব্র লড়াই করেছিলেন এবং তার পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। নির্ভয়া মামলার ৪ আসামি ফাঁসিতে ঝোলার পরে পরেই তাকে টুইটারে অসংখ্য মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন ।পয়সাও না নিয়ে এই পুরো মামলাটি সীমা কুশওয়াহা লড়াই করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকেই টুইটারে ‘হিরো, সীমা কুশওয়াহা’ লিখে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মানুষজন।সীমা নির্ভয়ার মামলায় বিনা মূল্যে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত তিনি নির্ভার দরিদ্রকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যান। আর ২০১২ সাল থেকে এখন অবধি সীমা কুশওয়াহা আদালতে নির্ভয়ার পক্ষে বিচারের জন্য লড়াই করে যাচ্ছিলেন।তিনি এতো অবিচারের পরেও থেমে থাকেন নি।
২০১২ সালে যখন নির্ভার সাথে এই ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন সীমা আদালতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন, তার পরে সীমা অর্থ ছাড়াই মামলাটি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি নির্ভারকে ন্যায়বিচার দিয়ে যাবেন।তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন , তার প্রথম থেকেই ইছহে ছিলো তিনি আইএস হবে। কিনি আইনের রাস্তায় এসেও তিনি দমে থাকেন নি দিনের পর দিন লড়াই চালিয়ে তিনি অবশেষে সাফল্য পান। আর নির্ভয়ার মার পাশাপাশি আজ সকল ভারতীয়দের মুখে খুশীর হাসি।