বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কমছে মদের (Alcohol) চাহিদা, মাছি মারছে মদের দোকানদার। বিক্রি নেই, পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ও। দীর্ঘ লকডাউনের পর মদের দোকান খুলতেই যে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল, ক্রমশই তা কমছে। মদের উপর ধার্য করা ত্রিশ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের জেরেই এই অঘটন ঘটেছে বলে দাবী করছে জলপাইগুড়ি জেলা।
দোকানমুখী হচ্ছে না ক্রেতারা
গত দুবছর ধরে বিক্রিত মদের দ্বারা অর্জিত রাজস্বের ভিত্তিতে প্রথম স্থানে থেকে এসেছে জলপাইগুড়ি জেলা। কিন্তু এবার লকডাউনের পর ভালো বিক্রি হলেও, মদের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোয় দোকানমুখী হচ্ছে না ক্রেতারা। যার ফলে, মুখ থুবড়ে পড়ছে মদের রাজস্ব আদায়।
কমছে মদের চাহিদা
গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩৭ শতাংশ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে এবারের মদের বিক্রিতে। যার পরিমাণ প্রায় ১৩ কোটি টাকা। বিদেশী মদের পাশাপাশি বিক্রি কমছে দেশী মদেও। গ্রাম এবং শহর এলাকায় বিদেশী ব্রান্ডেড মদের চাহিদা থাকলেও দেশী মদের চাহিদা বেশ কমেছে বলে জানাচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলার মদ বিক্রেতারা।
লকডাউনের প্রভাব
আবগারি দফতর জানাচ্ছে, গত বছর মে মাসে জলপাইগুড়ি জেলায় যে ব্র্যান্ডের মদ প্রায় ৫ লক্ষ লিটার বিক্রি হয়েছিল, বর্তমান সময়ে তা মাত্র ২ লক্ষ ৩৮ হাজার লিটার বিক্রি হয়েছে। লকডাউনের জেরে মার্চের শেষ থেকে গোটা এপ্রিল অবধি মদের দোকান সহ প্রায় সব কিছুই বন্ধ ছিল। আবার ৪ ঠা মে থেকে মদের দোকান খোলার সাথে সাথেই দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়তে থাকে।
কমতে থাকে লম্বা লাইন
বৃষ্টিকে পরোয়া না করেই ভোররাত থেকে মদের দোকানের বাইরে লাইন লাগিয়ে ছিলেন ক্রেতারা। কোথাও তো আবার ভিড় সামলাতে নেওয়া হয়েছিল পুলিশের সাহায্যও। তবে দিন কয়েক যেতেই সেই চিত্রে বদল ঘটতে শুরু করে। লম্বা লাইন কমে হাতে গোনা কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থা কতে দেখা যায় মদের দোকানের সামনে।
বন্ধ পানশালা
দেশী বিদেশী মদের চাহিদার পাশাপাশি কমছে মানুষের মদ খাওয়ার জায়গাও। ধারণা করা হচ্ছে, বেশিরভাগ পানশালা বন্ধ থাকায়, অনেকেই বাড়িতে বসে মদ খাওয়ার পরিবেশ না পেয়ে নিজের ইচ্ছাকেই দমিয়ে রাখছেন। যার কারণে কমছে মদ কেনার চাহিদা।