বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ফের একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই সে দেশের পঞ্জাব প্রদেশের হাসপাতাল থেকে ৪০০ টি পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিকে, শনিবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক অবাক করা তথ্য সামনে এসেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, ওই বিপুলসংখ্যক মৃতদেহ বালোচ বা পাশতুনদের। এমনিতেই দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁদের লুকিয়ে রাখার অভিযোগ ছিল ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল, ওই হাসপাতালে যে মৃতদেহগুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলির মধ্যে অধিকাংশ দেহ থেকেই অঙ্গপ্রতঙ্গ বার করে নেওয়ার চিহ্ন মিলেছে বলেও জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, এক চিকিৎসক দাবি করেছেন, প্রাথমিক ভাবে মৃতদেহগুলির শারীরিক গঠন এবং পোশাক দেখে তাঁদের বালোচ বা পাশতুনদের বলে মনে করা হচ্ছে।
মূলত, তাঁদের শারীরিক গঠন পাহাড়ি এলাকায় থাকা মানুষের মত। যদিও, এই প্রসঙ্গে সঠিক তথ্য DNA পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। তবে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই মৃতদেহগুলির DNA পরীক্ষা না করে সমগ্র বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছে বলেও জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
এদিকে, দীর্ঘ দিন ধরেই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বালুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোওয়া (কেপি) প্রদেশের বাসিন্দাদের গুম করে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এমতাবস্থায়, এখনও চিহ্নিত না হওয়া এই মৃতদেহগুলিকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে, বর্তমানে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পাকিস্তান সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, দক্ষিণ পঞ্জাব স্বাস্থ্য দফতর ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের কমিটি তৈরি করেছে। এদিকে, পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা চৌধুরি জামান গুজ্জর জানিয়েছেন যে, তিনি ইতিমধ্যেই ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করছিলেন। সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁকে পুরো বিষয়টি বোঝার জন্য মর্গে যেতে বলেন। কিন্তু, মর্গে পৌঁছতেই জামানকে আটকানোর চেষ্টা করেন কর্মীরা। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। যদিও, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মর্গে ঢুকতে না পারলে সবার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। এমতাবস্থায়, চিকিৎসকদের কাছে ওই দেহগুলি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তাঁকে জানানো হয় যে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পডুয়াদের ব্যবহারের জন্য সেগুলিকে রাখা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বালোচের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। এমনকি, ওই এলাকার পুরুষদের তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের গুম করে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমতাবস্থায়, ওই মৃতদেহগুলির DNA পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।