বাংলা হান্ট ডেস্ক: বেজে গিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের দামামা। গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার পরই শেয়ার বাজারে কার্যত ধ্বস নামে। এমনকি, বাজার খোলার সাথে সাথেই সেনসেক্স প্রায় ১৩ শতাধিক পয়েন্টের বিশাল পতনের সাথে ব্যবসা শুরু করে।
পাশাপাশি, নিফটি ৩৫০ পয়েন্টের বেশি পড়ে ১৬,৭০০-র নিচে নেমে এসেছিল। তবে, মাত্র একদিনের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিরাট ধাক্কা সামলে নিল শেয়ার বাজার। গত বৃহস্পতিবার যে সব শেয়ার সূচকে রেকর্ড হারে পতন দেখা গিয়েছিল, শুক্রবার সেগুলিই ক্রমশ ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শুক্রবার সকালে বাজার খুলতেই একলাফে ১ হাজার ১০০ পয়েন্টের বেশি উত্থান হয় সেনসেক্সে। শুধু তাই নয়, পাল্লা দিয়ে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটিতেও এদিন একধাক্কায় প্রায় সাড়ে তিনশো পয়েন্টের উত্থান হয়েছে। সকাল ১০ টায় সেনসেক্স প্রায় ৫৬ হাজার পয়েন্টের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। নিফটিও একধাক্কায় বেড়ে আপাতত ১৬ হাজার ৬০০ পয়েন্টের আশেপাশে রয়েছে।
সামগ্রিক ভাবে প্রায় সব সেক্টরের শেয়ারই এদিন সকাল থেকে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেনসেক্স সকালে প্রায় ৪ শতাংশ বাড়ার পাশাপাশি আড়াই শতাংশ বেড়েছে নিফটিও। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি যথেষ্ট সুখবর বহন করে।
এদিকে, মার্কেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, শেয়ার বাজারের এই পুনরুত্থান একপ্রকার প্রত্যাশিতই ছিল। তাঁদের মতে, যুদ্ধ ঘোষণার পরবর্তী সময়ে লগ্নিকারীদের মনে যে প্রাথমিক আশঙ্কা তৈরি হয়, সেটা একটা সময়ের পর কেটে গিয়েছে।
আর সেই কারণেই প্রত্যাশিতভাবে বাজারে গতকাল যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, সেটা আজ অনেকটা কেটেছে। যদিও, পরবর্তীকালে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতির উপর বাজারের গতিপ্রকৃতিও নির্ভর করবে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সারা দিনে প্রায় ২ হাজার পয়েন্টের বেশি নেমে যায় সেনসেক্স। বিরাট পতন ঘটে নিফটিতেও। এমনকি, একটা সময় মনে হচ্ছিল যে, ফের করোনা মহামারীর কালে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছিল সেটাই হয়তো আবার ঘুরে আসতে চলেছে। যদিও, একদিন পরেই স্বস্তির নিশ্বাস মিলেছে শেয়ার বাজারে।