বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের মাঝেই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এক ধাক্কায় ২৫ হাজারেরও বেশি চাকরি বাতিল করেছে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, ২০১৬ সালের সকল নিয়োগ অবৈধ।
মেয়াদ উত্তীর্ণ পদে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরত দেওয়া হয়েছে কিনা সেটা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। হাই কোর্টের এই এক রায়ের ফলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। এবার এই নিয়ে সুর চড়ালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টের দেওয়া রায় প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, ‘সম্পূর্ণ ত্রুটিপূর্ণ রায়। এই জাজমেন্ট থাকতে পারে না। কারোর কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও ৭৫ শতাংশের বিরুদ্ধে তো অভিযোগ ছিল না। তাহলে কীভাবে এই রায় দেওয়া হল?’
আরও পড়ুনঃ হাই কোর্টের রায়ে বাতিল ২৫৭৫৩ জনের চাকরি! ফের কীভাবে মিলবে চাকরি? কারা পাবেন?
এখানেই না থেমে সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তোলেন তৃণমূল নেতা। কল্যাণ বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি আসলে চাকরি খেতে চাইছে। দেশে এত বিপুল সংখ্যক বেকার রয়েছে, সেখানে বিজেপি সবসময় কাজ চলে যাক চায়। বিজেপির মূল উদ্দেশ্যই হল বাঙালিদের চাকরি চলে যাক। সুপ্রিম কোর্টে যদি এই জাজমেন্ট যায় তাহলে ৫ মিনিটে স্থগিত হয়ে যাবে’।
এরপর সকল চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করে শ্রীরামপুরের জোড়াফুল প্রার্থী বলেন, ‘সকল শিক্ষকদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আপনারা নিশ্চিন্তে বসে থাকুক। এই রায় সম্পূর্ণ ভুল। শীর্ষ আদালতে এই রায় উঠলে ৫ মিনিটে স্টে হয়ে যাবে’।
কল্যাণের এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জোচ্চোরদের দালাল। উনি কোথা থেকে আইনি ডিগ্রি এনেছেন আমার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে। ওনার কোনও যোগ্যতাই নেই। সেই কারণেই এসব কথা বলছেন। নিশ্চয়ই চাকরির টাকার ভাগ পেয়েছেন। এমন নির্লজ্জদের চুপ করে থাকা দরকার। সুপ্রিমো কোর্টে গেলে নিশ্চয়ই স্থগিত হতে পারে, কিন্তু সেটা শীর্ষ আদালত বলবে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নয়’।