মোদির জনসভায় বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত আরও এক, পলাতক মেহরে আলমকে গেফতার করল STF

বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাটনায় নরেন্দ্র মোদির সভায় ধারাবাহিক (Serial Blast in Narendra Modi’s Meeting in Patna 2013) বিস্ফোরণ কাণ্ডে এসটিএফ (Special Task Force) এক ফেরার অপরাধীকে গ্রেফতার করল। গতকাল গভীর রাতে দরভাঙ্গার অশোক পেপার মিল থানা এলাকায় সিংঘৌলি গ্রামে হানা দেয় এসটিএফ-র বিশেষ বাহিনী। এই অভিযানেই গ্রেফতার হয় মেহরে আলম নামে ওই অপরাধী।

জানা যাচ্ছে, এর আগেও ধরা পড়েছিল মেহরে আলম। এনআইএ গ্রেফতার করে তাকে মুজফফরনগর নিয়ে যায়। কিন্তু সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। এরপর ৩০ অক্টোবর মুজফফরনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। শুরু হয় তল্লাশি। এরপর, গত কাল রাতে ওই গ্রাম থেকে গ্রেফতার হয় মেহরে আলম।

hunkar relly 2

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। ২০১৩ সালে ‘হুঙ্কার মিছিল’এর ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। ২৭ অক্টোবর বিহারের গান্ধী ময়দানে এমনই এক সভায় ভাষণ দেওয়ার রাখার কথা ছিল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী মোদির। সেই সভাতেই ঘটে বিষ্ফোরণ। বিষ্ফোরণের পর হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টও হন বহু মানুষ৷ মোট ছ’জন ব্যক্তি মারা যান ওই ঘটনায়। শুরু হয় তদন্ত। গোয়েন্দারা প্রথম থেকেই সন্দেহ করেছিলেন, এ কাজ ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের।

গ্রেফতার হয় একাধিক। বিশেষ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতি গুরবিন্দর মেহরোত্রা এই মামলার রায় দেন। তিনি একজন অভিযুক্তকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাসও করেছেন। ন’জন অভিযুক্ত হল ইমতিয়াজ আনসারি, মুজিবুল্লাহ, হায়দর আলি, ফিরোজ আসলাম, ওমর আনিসারি, ইফতিকর, আহমেদ হুসেইন, উমর সিদ্দিকী এবং আজহারউদ্দীন। ফাখরুদ্দিন নামক এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। এরপরই গতকাল গ্রেফতার হল আর এক অপরাধী।

কিভাবে ঘটে বিস্ফোরণ? ২০১৩ সালে মোদির ওই জনসভায় পৌঁছানোর আগেই বিহারের পটনা স্টেশনে একটি বোমা বোস্ফোরণ হয়। তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সে সময় ছিলেন পটনা বিমানবন্দরে৷ এরপর দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ মোদির জনসভাস্থলে পরপর বিস্ফোরণ হয়। উদ্ধার হয় ৩টি তাজা বোমা৷ কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা ও লালুপ্রসাদ যাদবের দলের কিছু নেতা সে সময় অভিযোগ করেছিল ভোটের আগে সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য এসব ষড়যন্ত্র করানো হয়েছে বিজেপির প্রতি দূর্বল কোনও পক্ষ থেকেই৷


Sudipto

সম্পর্কিত খবর