বাংলাহান্ট ডেস্ক : নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভোট গণনায় (Counting) কারচুপির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পাল্টা আর্জি জানান, নিরপেক্ষতা রক্ষার স্বার্থে এই মামলা দেশের অন্য কোনও হাইকোর্টে পাঠানো হোক। শুক্রবার শুভেন্দুর করা সেই আর্জিই খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। জানা যাচ্ছে, শুভেন্দুর আইনজীবী হরিশ সালভেও এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
একুশের নির্বাচনে বাংলার মূল ভরকেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই ছিল সবচেয়ে জমজমাট ব্যপার। রিটার্নিং অফিসার জয়ী প্রার্থী হিসেবে শুভেন্দুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন সার্টিফিকেট।২০২১-এর ২ মে বিকেলে প্রথমে ঘোষণা করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতে গিয়েছেন। তার কিছু সময় পরই শোনা যায় গণনা বন্ধ। কারণ গণনা কেন্দ্রে তখন লোডশেডিং। শেষে জানা যায়, ১৯৫৬ ভোটে জিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। তৃণমূলের দাবি, লোডশেডিং করিয়ে ভোট গণনায় কারচুপি করা হয়। যে কারণে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ মাঝেই মাঝেই বলেন, লোডশেডিং অধিকারী।
মমতার দায়ের করা মামলা নিয়েও একাধিক বিতর্ক ওঠে। প্রথমে এই মামলা গিয়েছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। তারপরেই বিচারপতি চন্দের বিভিন্ন ছবি সামনে আনে তৃণমূল। কোনওটায় আরএসএসের শাখা সংগঠনের মঞ্চে দেখা গিয়েছে বিচারপতিকে আবার কখনও দিলীপ ঘোষের পাশে।
এই মামলা থেকে বিচারপতি কৌশিক চন্দ যাতে সরে দাঁড়ান সেই নিয়েও চাপ দেওয়া হয় তাঁকে। অবশেষে মমতাকে জরিমানা করে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। যদিও তাকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও। গণনা কারচুপি মামলা আপাতত বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে বিচারাধীন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানাল, ওই মামলা নিষ্পত্তির অধিকার একমাত্র কলকাতা হাইকোর্টেরই।