বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাড়তে থাকা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে, রাজ্যে জারি হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। বন্ধ হয়েছে স্কুল কলেজের দরজা, ট্রেনে যাত্রী নেওয়া যাবে ৫০ শতাংশ। এছাড়াও জারি হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা। কিন্তু আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেনি রাজ্য। সবটাই ছেড়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনের উপর। এবার নির্বাচন নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা আবহে নির্বাচনের দিন স্থির হওয়ায় প্রচার করতে হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। নেওয়া যাবে না খুব বেশি লোক। মাত্র ৫ জন ব্যক্তি যেতে পারবেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে। করা যাবে না কোনরকম পদযাত্রা কিংবা রোড শো। আর প্রচার সভা করলেও সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ৭২ জন।
এখানেই শেষ নয়, নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত দিনের ৭২ ঘন্টা আগেই প্রচার কাজ বন্ধ করে দিতে হবে- এমনই কিছু নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন।তবে করোনা আবহে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের সময় মহারাষ্ট্র ও দিল্লীতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মাঝে বাংলায় ভোট বন্ধের দাবি করা হয়েছিল। আর এখন তো মাত্র কয়েকটি পুরসভা ভোট হবে, তাহলে এখন কেন ভোট বাতিল হবে না?’
রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি অফিসে ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ করা হবে। সেলুন, স্পা, পার্ক, সুইমিং পুল সব থাকবে বন্ধ। শপিং মল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে বন্ধ। ব্রিটেনের কোনও বিমান বাংলায় অবতরণের অনুমতি পাবে না। ৫০ জনের বেশি নিয়ে করা যাবে না সামাজিক অনুষ্ঠান। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের RTPCR পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। রাত ১০টার পর বন্ধ রাখতে হবে সিনেমা হলগুলো।রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে নাইট কার্ফু। একমাস স্থগিত থাকল দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। রেস্তরাঁ, বারে ৫০ শতাংশ গ্রাহক প্রবেশের অনুমতি। লোকাল ট্রেনেও ৫০% যাত্রী যাতায়াতের অনুমতি। শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১০ টায়।