বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল ক্ষমতায় এলে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় এলে আব্বাস সিদ্দিকী ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। আর বিজেপি ক্ষমতায় এলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন? এটা জানা নেই কারোর। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে নির্বাচনে লড়ছে না। তবে অমিত শাহ এটুকু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
আর বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে প্রশ্নের মাঝে বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের মুখে যা বললেন, তা নিয়ে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছে। রবিবার খড়গপুরে একটি সভা করেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে ওই সভা করেন তিনি। সেখান থেকে তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাতে নেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি খড়গপুরে দলীয় প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। রবিবার শভেন্দুবাবু বলেন, ২০১৯-এ দিলীপ ঘোষ সাংসদ হওয়ার পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল, সেই সময় তৃণমূলের প্রার্থী জয় পেয়েছিল। ওটা একটা দুর্ঘটনা ছিল মাত্র। তবে সেই সময় প্রদীপ সরকারকেও জিতিয়েছিলাম আমিই। শুভেন্দু অধিকারীই উপনির্বাচনে তৃণমূলের বৈতরণী পার করিয়ে দিয়েছিল, সেই সময় মমতা বেগম আর তোলাবাজ ভাইপো কেউ আসেনি।
শুভেন্দু অধিকারী ওই সভা থেকে শনিবারে খড়গপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকে কটাক্ষ করে বলেন, মাননীয়া এই খড়গপুরে যেই সভা করে গেছেন, সেটা সম্পূর্ণ ফ্লপ করে দিয়েছেন আপনারা। একটা হেলিকপ্টার, ২ হাজার পুলিশ আর ১ হাজার ২০০ মানুষ নিয়ে সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনারা এই কেন্দ্রে কে জিতবে সেটা শনিবার দিনই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন। এবার শেষ পেরেক পোঁতার অপেক্ষা মাত্র।
রবিবারের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বাংলার হবু মুখ্যমন্ত্রী নিয়েও জল্পনা উস্কে দেন। তিনি বলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে দিলীপ ঘোষ আর আমি মিলে সরকার চালাব।” স্বভাবতই শুভেন্দুবাবুর এই মন্তব্যে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে, সেটা কিছুটা হলেও পরিস্কার হয়েছে। আর এটাও বোঝা গেছে যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে শুভেন্দু অধিকারী সরকারে বড় ভূমিকা পালন করবেন।