বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, অযোধ্যায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ঘটনা সামনে এসেছে। অযোধ্যায় একাধিক ধর্মীয় স্থানের সামনে কয়েকজন ব্যক্তি মিলে আপত্তিজনক কিছু পোস্টার এবং মাংসের টুকরো ছুঁড়ে দিয়ে পালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে এই কাণ্ডে অভিযুক্ত সাত জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং তারা সকলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে পুরো ঘটনাটি রেকর্ড হয়েছে যেখানে সেই সকল যুবকদের ফেজ টুপি পরে কর্মকাণ্ড ঘটাতে দেখা যায়।
এই ষড়যন্ত্রের পেছনে মাস্টারমাইন্ড মহেশ কুমার মিশ্র নামের এক যুবক। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর সে জানায়, দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনা সে এবং তার সঙ্গীরা মেনে নিতে পারেনি আর তাই তারা এমনই এক কাণ্ড ঘটানোর সুযোগ খুঁজছিল। এমনকি মহেশ সহ তার বাকি সঙ্গীরা চেয়েছিল যে, তাদের এই কর্মকাণ্ড সিসিটিভি ক্যামেরায় মাধ্যমে যাতে পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এজন্যই নাকি তারা সিসিটিভি লাগানো আছে এমন মসজিদগুলিকেই বেছে নেয় বলে এদিন জানায় অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় মোট 11 জন ব্যক্তি জড়িত থাকলেও বর্তমানে সাত জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি চার জন নিরুদ্দেশ থাকলেও খুব দ্রুত তাদের জেল হেফাজতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার। সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা আপত্তিকর পোস্টার এবং মাংসের টুকরো ফেলার জন্য বেশ কয়েকটি মসজিদকে তাদের টার্গেট হিসেবে বেছে নেয়। যার মধ্যে ছিলো অযোধ্যার মসজিদ কাশ্মীরি মহল্লা, তাতশাহ মসজিদ, রামনগর মসজিদ এবং দরগাহ জেল।
স্থানীয় থানার পুলিশ জানিয়েছে, এক মুসলিম ধর্মগুরু দুপুরবেলা বাইকে করে কয়েকজন ব্যক্তিকে আপত্তিকর পোস্টার আর মাংস ফেলতে দেখেন। সেই সময় তিনি নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন এবং এই দৃশ্যটি লক্ষ্য করার পরই তিনি স্থানীয় পুলিশের কাছে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মাস্টারমাইন্ড মহেশ কুমার, ব্রিজেশ পান্ডে নামের অপর এক অভিযুক্তের বাড়িতে বসে সকলকে নিয়ে প্ল্যানিং সারে। মহেশ কুমার ছাড়াও এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা হল প্রত্যুষ শ্রীবাস্তব, নীতিন কুমার, দীপক কুমার গৌড়, ব্রিজেশ পান্ডে, আকাশ, শত্রুঘ্ন প্রজাপতি এবং বিমল পান্ডে।
অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের দ্বারা জানা গেছে, প্রথমে মহেশ লালবাগের আশীর্বাদ ছাপাখানা থেকে পোস্টার গুলি তৈরি করে। এছাড়া আকাশ লালবাগ থেকে মাংস কিনে আনার পর বাইকে করে তারা বেনিগঞ্জ তিরাহা নামক এলাকায় উপস্থিত হয়। তবে সেখানে পুলিশের গাড়ি থাকায় সেখান থেকে তারা পলায়ন করে এবং কাশ্মীরি মহল্লা মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে গিয়ে তাদের পরিকল্পনা মাফিক কাজ সম্পন্ন করে।