বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ ইস্যুতে লড়ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বছরের পর বছর ধরে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সম্প্রতি সেই নিয়ে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) ছয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ’র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রত্যাশা, বাকি ৭৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ প্রদানের নির্দেশও সুপ্রিম কোর্ট দিয়ে দেবে। ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি আগস্ট মাসে। এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একাধিক সদস্য।
বদলি ইস্যুতে হাইকোর্টে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একাধিক সদস্য | Calcutta High Court
ডিএ ইস্যুতে নয়, বদলি আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একাধিক সদস্য। অভিযোগ, বর্তমান যেখানে পোস্টিং সেখান থেকে তাঁদের অনেক দূরে বদলি করা হচ্ছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একাধিক সদস্যের সাথে একই ঘটনা হয়েছে। এই অভিযোগেই এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন তাঁরা।
আদালতের মামলাকারীদের দাবি, ট্রান্সফার কমিটির দু’-একজন সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন রয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এতদূরে ট্রান্সফার করা হচ্ছে। অভিযোগ, কোনও কোনও কর্মচারীর পোস্টিং রয়েছে নব মহাকরণে, তার বদলি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে।
আরও পড়ুন: মোদীর পর রাজ্যে আসছেন শাহ! কালই কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সামনে সম্পূর্ণ সফরসূচি
কেন বর্তমান পোস্টিং থেকে এভাবে তাঁদের এত দূরে বদলি করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেই বদলি আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্য সুদীপ চন্দ’কে ২৭ মে নবমহাকরণ থেকে আলিপুরদুয়ারে বদলি করা হয়েছে। সেই বদলির নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন সুদীপ চন্দ।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলে অনুমতি দেন বিচারপতি। যদিও বিচারপতি ঘোষ বলেন, ”এই আবেদন সরাসরি হাইকোর্টে করা যায় না।” ট্রাইবুনালের কাছে আবেদন জানানোর কথা বলেন বিচারপতি।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/ClqTt_hoxiM?si=bmlyfLx13SiO3vWk
মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে বলেন, ”গ্রীষ্মকালীন অবকাশে’র জন্য ট্রাইব্যুনাল বন্ধ আছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল বন্ধ থাকে তাহলে হাইকোর্টে আবেদন করা যায়।” বিচারপতির প্রশ্ন, ”হাইকোর্ট বন্ধ থাকলে কী সুপ্রিম কোর্টে যাবেন?” উত্তরে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ”হাইকোর্ট বন্ধ থাকলে প্রধান বিচারপতি বা রেজিস্টার জেনারেলের কাছে আবেদন করার সুযোগ পাই। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই আমাদের।’