বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জীবিত ব্যক্তি ছেড়ে এবার কবরে মৃত ব্যক্তিও স্বস্তি দিচ্ছে না তারা। পাকিস্তানের (Pakistan) কাম পিপাসু ব্যক্তিরা নিজেদের যৌনলালসা মেটাতে এমন পথ বেছে নিয়েছে যা গোটা মানব জাতি ও মানবতাকেই লজ্জায় ফেলে দেবে।
কাম-লালসার অন্ধ ও বিকৃত যৌন মানসিকতার মানুষেরা কিছুদিন আগে কবর দেওয়া এক মহিলার মৃতদেহ বের করে নৃশংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে পরিস্থিতি দেখে মনে করা হয়েছে, মৃতদেহকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ধরণের বিকৃত মানসিকতার পোশাকি নাম নেক্রোফিলিয়া।
আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁর পরিবারের মানুষেরা। পাকিস্তানে দরিদ্র মানুষদের সঙ্গে খারাপ কাজের অনেক ঘটনাই সামনে এসেছে। তবে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নারী বা যুবতীর কবরে তার বাড়ির মানুষেরা তালা লাগাতে শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, পরিবারের সদস্যরাও কবরের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর রাখেন। একই সঙ্গে মানুষ মৃতদেহের গায়ে বেশি করে লবণ দেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে সেই দেহ দ্রুত গলে মাটিতে মিশে যায়। করাচি-সহ অন্যান্য শহরেও এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে।
কিছুদিন আগে সিন্ধু প্রদেশের একটি গ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরীর মৃতদেহকে ধর্ষণ করে এক বিকৃত মানসিকতার মানুষ। তার আগে এক মহিলার মৃতদেহ কবর থেকে বের করে নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছে আরও এক অভিযুক্ত।জমিয়াত উলমা এ ইসলামর মাওলানা রশিদ এ ধরনের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘জীবন্ত অবস্থায় নারীরা শয়তান ও কুদৃষ্টি থেকে নিজেদের রক্ষা করে চলে। এখন এই বিষয়টি তাদের কবরে পৌঁছেছে। যা ভয়াবহ।’ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে সেই সমস্ত মানুষদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত। কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে অভিযুক্তদের। একই সঙ্গে স্থানীয় পুলিস ও সমাজের সচেতন ব্যক্তিরাও এ ধরনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।