বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মরদেহ ‘বিক্রি’ থেকে টেন্ডার দুর্নীতি, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে একাধিক। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে দিন কাটছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। এই আবহে এবার প্রকাশ্যে এল তাঁর আরও এক ‘কীর্তি’। অভিযোগ, এক নার্সিং ছাত্রের যৌন নিগ্রহ করেছিলেন সন্দীপ (Sandip Ghosh)! জল গড়িয়েছিল আদালত অবধি।
সন্দীপের (Sandip Ghosh) ‘কীর্তি’ ফাঁস হতেই তোলপাড়!
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল। পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ভারত নয়, ঘটনাস্থল ছিল হংকংয়ের (Hong Kong) কুইন এলিজাবেথ হাসপাতাল। পরবর্তীতে সেই মামলা ওঠে কাউলুন আদালতে। পুরুষ নার্সিং পড়ুয়া অভিযোগ করেছিলেন, সন্দীপ তাঁর পেছনে আলতো করে তিনবার চাপড় মেরেছিলেন। তিনি সেই সময় জামাকাপড় বদলাচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, সন্দীপ নাকি ওই ছাত্রের গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন।
- ‘ডু ইউ লাইক ইট?’ প্রশ্ন করেন সন্দীপ!
আদালতে অভিযোগকারী নার্স জানিয়েছিলেন, সন্দীপ (Sandip Ghosh) একাধিকবার তাঁর নিতম্ব স্পর্শ করেছিলেন। এরপর সোজা তাঁর গোপনাঙ্গের দিকে হাত বাড়ান। তখন তাঁকে বাধা দেন ওই ছাত্র। যদিও সন্দীপ এই সকল অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন। তাঁর আইনজীবী বলেন, ওই নার্স ডিউটিতে লেট ছিল। সেই কারণেই সন্দীপের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে নিজের শাস্তি কমাতে চাইছে সে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ! আরজি কর মামলায় এবার বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
অভিযোগকারী ডিউটিতে লেট থাকার কথা স্বীকার করে নিলেও যৌন নিগ্রহের বিষয়ে নিজের দাবিতে অনড় ছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, সন্দীপ গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘ডু ইউ লাইক ইট’? যদিও মামলা চলাকালীন সন্দীপ দাবি করেন, তিনি বলেছিলেন, ‘ডু ইট লাইক দিস’।
সন্দীপ জানান, তাঁর শোল্ডার ডিসলোকেশন হয়েছিল। সেটা ঠিক করার জন্য ওই নার্সিং পড়ুয়ার (Nursing Student) সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। তখনই ভুলবশত অন্য জায়গায় হাত দিয়ে ফেলেন। কোনও ‘খারাপ উদ্দেশ্য’ নয়, বরং নেহাত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। এই বিষয়ে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে যে চিকিৎসক সন্দীপকে সুপারভাইজ করছিলেন, তিনিও এই বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
ডাক্তার উইলসন লি বলেন, সত্যিই সন্দীপের (Sandip Ghosh) শোল্ডার ডিসলোকেশন হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল এমআরআইয়ে সেটা ধরা পড়ে। তবে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল ৮ এপ্রিল। আরজি কর কাণ্ডের আবহে এবার শোরগোল ফেলে দিল ৭ বছর পুরনো এই ঘটনা।