নিজস্ব প্রতিবেদন : সময় তুমি হার মেনেছো পর্ণ সিনেমার কাছে । যাকে বলে ” অতিমাত্রায়” । ঘন্টার পর ঘন্টা চলছে যৌনতার খেলা । অর্গ্যাজম হচ্ছে তবুও থেমে যাওয়ার কোনো নাম নেই । আওয়াজে পাশের বাড়ি লোক চলে আসার উপক্রম। সব পর্ন সিনেমাতেই একই দৃশ্য। কিন্তু বাস্তবে কি তা হয় আদেও?যদিও উত্তরটা খুব ই সহজ ।এবং এক কথায় “না”।এখন দেখা যাক অমিল গুলি-
“আওয়ার গ্লাস ফিগার”। দেহে প্রতিটা ভাঁজ আছে অথচ মেদ বিহীন । পর্ণ সিনেমাতে প্রায় প্রত্যেকটি মেয়ের শরীরী কায়দা এক । পুরুষ আকৃষ্ট হয় তাই দেখেই । কিন্তু আদতে কোটি মেয়ের এতো সুন্দর শরীর হয় শুনি ?
ঘন্টার পর ঘন্টা চললো আদর । কেউ থামতে নারাজ । পুরুষটির ওরকম সঘনো সুদীর্ঘ যৌন সঙ্গমের পরও বীর্যস্থলন হয়না । যেটা আদতে একে বারেই অসম্ভব । অল্প সময়ের যৌন সঙ্গম ও পরিতৃপ্তি আনতে পারে ।
পর্নো ছবিতে কথায় কথায় মহিলাদের অর্গ্যাজম দেখায় । যা বাস্তবে দেখা পাওয়া ভার । পুরুষদের বীর্যস্থলন হওয়ার পরও মহিলাদের অর্গ্যাজম না হওয়ার কাহিনীটিই বাস্তবে বেশি।
পর্নো সিনেমার নায়িকার ঠিকঠাক সাজ। না মেকআপ ঘাঁটে, না চুল। হাতে চাবুক , পায়ে হাই হিল। যৌন সঙ্গমের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সাজগোজ ঘাঁটলো না পর্যন্ত । অথচ আদতে!
পর্নো সিনেমার নায়িকাদের যোনি হয় মখমলের মতো । দাগ হীন ,মসৃণ। এমনকি গায়ে একটা লোম পর্যন্ত নেই। বাস্তবে পুরুষদের মনে রাখতে হয় পুরুষের গায়ের লোমের মতোই নারীর গায়ের লোম ও স্বাভাবিক।
হাতেগোনা কয়েকটি সিনেমা ছাড়া পর্নো সিনেমাতে কন্ডোমের ব্যাবহার কোথাও ই দেখানো হয়না। যা বাস্তবে হানিকারক বিষয় । গর্ভধারণের চিন্তা ছাড়া এমনি সময় কন্ডোমের ব্যাবহার করা অতন্ত্য প্রয়োজনীয়।যৌনতা পেতে সম্পর্কের ঠিক ঠিকানা নেই । বাবা, মেয়ে, দাদা, জেঠু , কাকিমা সবাই ই যৌন লালসাতে মগ্ন এই সিনেমা গুলিতে।
পর্নো সিনেমাতে পুরুষের সঙ্গে নারীর যৌন সুখটাই শেষ কথা । কিন্তু বাস্তবে তা বাদ দিয়েও সন্তান ধারণ থেকে শুরু করে সাংসারিক দায় দায়িত্বও নিতে পুরুষ নারীর উভয়ের ই অবদান রয়েছে।
স্কুল, কলেজ , অফিস, হসপিটাল । যেখানে সেখানে যৌনতায় মত্ত হয়ে যায় কপোত কপতিরা। মহিলা বস এর সঙ্গে কাজ কর্ম বাদ দিয়ে লেগে গেলেন ৩-৪জন কর্মচারী । আদতে কি সম্ভব!