বাংলা হান্ট ডেস্ক : একেবারে দেশজুড়ে প্রতিবাদের অন্য উদাহন তৈরি হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে। কখনও রাস্তা অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া। আবার ট্রেনে আগুন লাগানো থেকে স্টেশন মাস্টারের ঘর ভাঙচুর করা। সবটাই যেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে প্রতিদিনের রুটিনে পরিনত হয়েছে।যার জেরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাধারণ মানুষ সমস্যা পড়ছেন। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি জোরা আতঙ্কে আতঙ্কিত দেশবাসী।
বিরোধী দল ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন গুলি একযোগে বিরোধিতায় নেমেছে। কোনোভাবেই দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রনয়ন করা যাবে না এই দাবিতে একের পর এক নতুন নতুন বিক্ষোভের জন্ম হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন অনেক সংগঠন। এবার মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে মোদীর ছবির ওপর দিয়ে হাঁটল এসএফআই সদস্যরা।
অভিযোগ উঠেছে কেরলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেঝেয় রাখা মোদীর ছবি মারিয়ে যাচ্ছেন এসএফআই ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে কেরলের পিকে দাস কলেজে এসএফআই সদস্যরা নিজের ভাষায় কবিতা বেঁধে স্লোগান তুলে বিরোধিতা করছে।
আর সেই প্রতিবাদের মধ্যেই মোগীর মুখের ছবি মারিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে এহেন প্রতিবাদ ঘিরে ভারতীয় সংস্কৃতি ও প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় ট্যুইট করে কবিগুরুর একটি কবিতা উদ্ধৃত করেছেন, “হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থে জাগোরে ধীরে এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে”।
"হে মোর চিত্ত পুণ্যতীর্থে জাগোরে ধীরে
এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে"..#CAA_NRC_Protests pic.twitter.com/YQ5afkwtsI— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) December 20, 2019
এসএফআইয়ের তরফে স্লোগান তোলা হয়েছে, তেভাগা, তেলেঙ্গানা, পুন্নাপ্রা ভ্রায়লার, জ্যোতি বসু, সুন্দরাইয়া, ইএমএস জিন্দাবাদ। অহল্যা, লক্ষী, গোদু তাই এসএফআই, এসএফআই, এসএফআই।