বাংলাহান্ট ডেস্ক: কর্ণাটকের ‘হিজাব বিতর্ক’ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। সদ্য কঙ্গনা রানাওয়াতকে (kangana ranaut) কটাক্ষ ছুঁড়েছেন, সাহস দেখাতে হলে আফগানিস্তানে গিয়ে দেখাতে। এবার সেই মন্তব্যেরই পালটা দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ শাবানা আজমি (shabana azmi)। তিনি বলেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতান্ত্রিক দেশ।
কর্ণাটকের উদুপিতে পড়ুয়াদের হিজাব পরা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল তা এখন গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর জেরে বিক্ষোভের আগুন চড়চড়িয়ে বেড়েছে। ভিডিওটি কর্ণাটকের এক কলেজের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একদল হিন্দুত্ববাদী যুবক জোর গলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিচ্ছে। পালটা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেন বোরখা পরা এক তরুণী। ভিডিওটি বিভিন্ন মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
এরপরেই নিজের ইনস্টা স্টোরিতে লেখক আনন্দ রঙ্গনাথনের টুইটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেন কঙ্গনা, যেখানে দুটি ছবির মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। প্রথম ছবিটি ১৯৭৩ সালের। সেখানে ইরানের কয়েকজন মহিলাকে বিকিনি পরে সমুদ্র সৈকতে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। পরের ছবিটি সাম্প্রতিক কালের, যেখানে শুধুই বোরখা পরিহিতদের ভিড়।
টুইটটি শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘যদি সাহস দেখাতেই হয় তবে আফগানিস্তানে বোরখা না পরে দেখাও। নিজেকে বন্দি না করে শিকল ভাঙতে শেখো।’ সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতামত রাখতে দেখা যায় কঙ্গনাকে। তাই এই বিতর্ক নিয়েও যে তিনি প্রতিক্রিয়া দেবেন তা জানা ছিল সকলেরই।
কঙ্গনার মন্তব্যের স্ক্রিনশট টুইট করে শাবানা লিখেছেন, ‘আমি ভুল বললে শুধরে দেবেন। কিন্তু আফগানিস্তান একটি ধর্মতান্ত্রিক দেশ আর যখন আমি শেষবার দেখেছিলাম ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতান্ত্রিক দেশ ছিল?!’ শাবানা কঙ্গনার টুইট যুদ্ধ ইতিমধ্যেই ভাইরাল নেটমাধ্যমে।
Correct me if Im wrong but Afghanistan is a theocratic state and when I last checked India was a secular democratic republic ?!! pic.twitter.com/0bVUxK9Uq7
— Azmi Shabana (@AzmiShabana) February 11, 2022
ভাইরাল ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়ে টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জাভেদ আখতারও। তিনি লিখেছেন, ‘আমি কোনোদিনই হিজাব বা বোরখাকে সমর্থন করিনি। আমি নিজের বক্তব্য অনড়। কিন্তু সেই সঙ্গে এই গুণ্ডাদের দলের প্রতিও আমার তীব্র ঘৃণা জন্মাচ্ছে যারা মেয়েদের একটা ছোট দলের উপরে চড়াও হয়েছে। তাও আবার অসফল ভাবে। এটাই কি তাদের ‘পুরুষত্ব’? কী লজ্জা!’