বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের বুকে বর্তমানে ঘটে চলা একের পর এক বিতর্ক শেষ হওয়ার কোন নাম নেই। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ডামাডোলের পরিস্থিতি ইমরান খানের হাতের বাইরে বেরিয়ে গেছে। আর এবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বক্তব্য ঘিরে শুরু হলো এক নতুন বিতর্ক।
পাকিস্তান গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে গেলেও দেশের নেতারা যে তাদের পুরানো অভ্যাসেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তা বলা যায়। তারা বর্তমানে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার বদলে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বিবৃতি জারি করতেই ব্যস্ত। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এদিন এক বিবৃতি দেন যেখানে তিনি ভারতকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ভারত পাকিস্তানে এক নরম অবস্থানের সরকার চায়।” কুরেশি আরও বলেন, “ভারত সেসকল পাকিস্তান সরকারকে ঘৃণা করে যারা তাদের স্বার্থ রক্ষা করে এবং একটি স্বাধীন বিদেশনীতি অনুসরণ করে।”
শাহ মেহমুদ কুরেশি এদিন বলেন যে তাঁর দল ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ সর্বদাই ভারতের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য রাখে, তবে তারা কখনোই কাশ্মীরের বিরুদ্ধে কোনো খারাপ আচরণকে বরদাস্ত করবে না। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুরেশি আরও বলেন যে, “কোনও দেশেরই পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। আমরা একটি স্বাধীন দেশ এবং দেশের সব সিদ্ধান্ত সংবিধান, আইন এবং জনগণের ইচ্ছানুরূপ হওয়া উচিত।”
পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রী বহিরাগতদের নিশানা করে বলেন, “পাকিস্তানের এই সংকটের প্রাথমিক কারণ হিসেবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপকে দায়ী করা যায়।” এদিন তিনি তুরস্ক, চীন এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলির প্রশংসাও করেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাশিয়া জানায় যে, তাদের ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর মুহূর্তে পাক-রাশিয়ার বৈঠক ভালো চোখে দেখেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর বর্তমানে আমেরিকার হুঁশিয়ারি না শোনারই যে মাশুল গুনতে হচ্ছে ইমরান খানকে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে রাশিয়া।