বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাল শহীদ দিবস ঘিরে মেতে ছিল গোটা বাংলাই। ধর্মতলার সমাবেশ মঞ্চেই মূল অনুষ্ঠান হলেও তৃণমূলের (TMC) শহীদ দিবস পালিত হলো সারা রাজ্য জুড়েই। করোনা অতিমারির দুটি অভিশপ্ত বছর কাটিয়ে এবার ধর্মতলায় সমাবেশ কে ঘিরে রীতিমতো উত্তপ্ত ছিল তৃণমূল। সেই উন্মাদনার জোয়াড়ে ভেসে এবার স্কুলের মধ্যেই আয়োজন করা হলো শহীদ দিবসের (Shahid Diwas)। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের সন্তোষ পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটে এই ঘটনা। যা নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মকসেদ আলমের নেতৃত্বে ‘তৃণমূল সাপোর্টারস কমিউনিটি’ নামে একটি সংগঠন শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান পালন করে। অভিযোগ উঠছে, এই অনুষ্ঠান উপলক্ষেই প্রয়োজনীয় অনুমতি নেননি তৃণমূল নেতারা। তাঁরা গায়ের জোরে স্কুল চত্তরে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে খিচুড়ি খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। এদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান।
শহীদ দিবসের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার স্কুলের সমস্ত (School) পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন শহীদ তর্পণ মঞ্চের আশেপাশে পড়ুয়াদের ঘোরাঘুরি করতেও দেখা গিয়েছে। তৃণমূল নেতা মকসেদ আলম বলেন, ‘এই স্কুলে এই নিয়ে তিন বছর ধরে আমরা শহীদ তর্পণ করে আসছি। আসলে সবার পক্ষে কলকাতা যাওয়া তো সম্ভব হয় না। তাই স্থানীয় কর্মীদের অনুরোধে আমরা এখানেই শহীদ দিবস পালন করি।’ স্কুলে তৃণমূলের অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই বিজেপির সহ-সভাপতি শ্যাম প্রসাদ বলেন, ‘শহীদ দিবস অনুষ্ঠানটি কংগ্রেসের। কিন্তু এই অনুষ্ঠান তৃণমূল দখল করে নিয়েছে। তৃণমূল দলের অভিধানে না বলে তো কিছু নেই। এরা কোনও আইন কানুন মানে না। তাই এদের পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব। এরা শিক্ষা-রাজনীতি সবটাকে একসঙ্গে গুলিয়ে দিয়েছে।’
নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝাঁ বলেন, ‘স্কুল ছুটি দিয়ে স্কুল চত্তরে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এই জাতীয় অনুষ্ঠান করতে গেলে স্কুল ছুটি থাকাকালীন করতে হয়। ডিআই কিংবা চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে তবেই কোনও স্কুলে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করা যায়। আমরা বিষয়টি ডিআই-এর কাছে লিখিতভাবে জানতে চাইব।’