বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনাকালে সমস্ত সঞ্চয় খুইয়ে বিপর্যস্ত অভিনেতা শাহিদ কাপুরের (shahid kapoor) সৎ বাবা রাজেশ খট্টর (rajesh khattar) ও তাঁর পরিবার। গত বছর থেকে এখনো পর্যন্ত রোজগারের কোনো উপায়ই পাননি তাঁরা। উপরন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালের খরচেই সব সঞ্চয় চলে গিয়েছে তাঁদের।
গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় সন্তানসম্ভবা ছিলেন রাজেশের বর্তমান স্ত্রী বন্দনা সাজনানী। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকি তাঁর সদ্যোজাত সন্তানও ভর্তি ছিল আইসিইউতে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্ত হন রাজেশ নিজে। তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও করোনায় প্রয়াত হন তাঁর বাবা।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বন্দনা বলেন, হাসপাতালের খরচে তাঁদের সমস্ত সঞ্চয় খরচ হয়ে গিয়েছে। তাও বাঁচাতে পারেননি রাজেশের বাবাকে। এমনকি হাসপাতালে বেড পেতেও প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁদের। গত বছর থেকে এখনো পর্যন্ত মাত্র একটি বিজ্ঞাপনেই কাজ করতে পেরেছেন বন্দনা।
প্রসঙ্গত, শাহিদ কাপুরের বাবা পঙ্কজ কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাজেশ খট্টরকে বিয়ে করেন শাহিদের মা নীলিমা আজিম। জন্ম হয় ঈশান খট্টরের। তারপর ২০০১ এ বিচ্ছেদও হয়ে যায় তাঁদের। ২০০৮ এ ফের বন্দনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ছোটপর্দার অভিনেতা রাজেশ খট্টর।
দ্বিতীয় স্ত্রী বন্দনা সাজনানির সঙ্গে ১২তম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিতীয় সন্তানের ছবি প্রকাশ্যে আনেন রাজেশ। দ্বিতীয় সন্তানের নাম রেখেছেন বনরাজ। রাজেশ বলেন, ‘সবাইকে এই প্রথমবার দেখছি আমি। বাবা বলে গোটা বিশ্ব কঠিন।পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই খারাপ সময়টাও কেটে যাবে ও শিশুদের জন্য আরও সুন্দর এক পৃথিবী গড়ে উঠবে।’