বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশে সবথেকে দামী অট্টালিকাগুলোর একটা লিস্ট বানালে ‘মন্নত’ (Mannat) এর নাম আসবেই। বান্দ্রায় সমুদ্রের ধারে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঝাঁ চকচকে মন্নত। শাহরুখ খান (Shahrukh Khan) এবং গৌরি খানের গর্বের মন্নত। যেকোনো শাহরুখ অনুরাগীর কাছেই এই বাড়ি এক দর্শনীয় স্থান। প্রায় প্রতিদিনই মন্নতের সামনে ভিড় জমান মানুষ। মাঝেমধ্যে মন্নতের ব্যালকনিতে দেখা দেন শাহরুখ।
বলিউডের একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রী দুদিন অন্তর অন্তর ভাড়াবাড়ি, ফ্ল্যাট বদলালেও শাহরুখের সঙ্গে মন্নত ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। তবে এই মন্নত কেনার কাহিনিটাও কম চমকপ্রদ নয়। প্রথমে অন্য একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন শাহরুখ গৌরি। সে সময়ে অভিনেতা সদ্য বলিউডে পা রেখেছেন। স্ত্রী গৌরির জন্মদিনে শাহরুখের উপহার ছিল এই মন্নত।
কিন্তু নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে মন্নত কিনেছিলেন শাহরুখ। সেই অজানা কাহিনিই জানাব এই প্রতিবেদনে। সেই গল্প প্রথম শেয়ার করেছিলেন ডিজাইনার প্রযোজক সাবিনা খান। এক ম্যাগাজিনে তিনি লিখেছিলেন, প্রথমে আজিজ মির্জার বাড়িতে একটি বেডরুমে সংসার পেতেছিলেন শাহরুখ গৌরি।
তারপর সেখান থেকে মাউন্ট মেরি এলাকায় একটি এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। তখন শাহরুখ সবে বলিউডে কাজ শুরু করেছেন। দুজনের সংসারে একাই সব কাজ করতেন গৌরি। গাড়ি বলতে ছিল নিজের মারুতি ৮০০। দিল্লি থেকে নিয়ে আসা সেই গাড়িটাই চালাতেন গৌরি। কিন্তু পরিবার বাড়ার পরিকল্পনা করার সঙ্গে সঙ্গে নিজের স্বপ্নের বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেন শাহরুখ।
গৌরির জন্মদিনে তাঁকে সাধের মন্নত উপহার দিয়েছিলেন অভিনেতা। সাবিনার লেখা অনুযায়ী, বাড়ির ছাদে থার্মোকলের প্লেটে সবাইকে বিরিয়ানি খাইয়েছিলেন শাহরুখ। তিনি আরো লিখেছিলেন, সে সময়ে মন্নতের দাম ছিল প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এদিকে শাহরুখের কাছে তখন ছিল মাত্র ২ কোটি টাকা। বাকি পুরো টাকাটাই ধার নিয়ে মন্নত কিনেছিলেন শাহরুখ।
উল্লেখ্য, সে সময়েই ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবির প্রস্তাব পান শাহরুখ। সেই ছবিটি এতটাই হিট হয় যে জনপ্রিয়তার চূড়ায় উঠে যান তিনি। এক কামরার ফ্ল্যাট থেকে মন্নতে উঠে আসার পরেই কপাল খুলে যায় শাহরুখের। ব্যাঙ্ক থেকে ধার নেওয়া টাকা ৪ বছরেই শোধ করে দিয়েছিলেন কিং খান।