বাংলাহান্ট ডেস্ক: বুধবার, ২৫ জানুয়ারি দিনটাকে সাময়িক ভাবে ‘পাঠান দিবস’ (Pathan) বলাই যায়। এই দিনই যে মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) কামব্যাক ছবি ‘পাঠান’। চার বছরের অপেক্ষার পর বড়পর্দায় বাদশার আবির্ভাব। কিং খান ক্রেজ কাকে বলে তা প্রথম দিনেই দেখিয়ে দিল শহর কলকাতা। প্রিয় শহর নিরাশ করল না বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরকে। দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে ছবিটা কমবেশি একই রকম।
পাঠান নিয়ে সিনেপ্রেমীদের উন্মাদনা প্রথম থেকেই তুঙ্গে ছিল। কারণ অনেকগুলো। প্রথমত, এত বছর পর শাহরুখকে স্বমহিমায় পর্দায় দেখার উত্তেজনা, দ্বিতীয়ত, ছবিটি ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক যা দর্শকদের আগ্রহ বাড়িয়েছে বই কমায়নি। ফলাফল হিসাবে বুধবার বেশিরভাগ জায়গায় দেখা গেল অদ্ভূত দৃ্শ্য। বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহের বাইরে পাঠানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন হলেও ভেতরে প্রেক্ষাগৃহ হাউজফুল। পুলিসি প্রহরায়ও সিনেমা চলছে অনেক জায়গায়।
হিন্দি, তেলুগু এবং তামিল তিন ভাষায় মুক্তি পেয়েছে পাঠান। হিন্দি বলয়ের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতেও চোখে পড়ছে শাহরুখ ক্যারিশ্মা। হায়দ্রাবাদে একটি প্রেক্ষাগৃহের বাইরে ঢোল বাজিয়ে নাচতে দেখা যায় কিং খান ভক্তদের। পুণেতে বাজি ফাটিয়ে সেলিব্রেট করা হয় বাদশার কামব্যাক।
কলকাতায় সকাল সাতটারও আগের শো হাউজফুল চলেছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ‘ঝুমে যো পাঠান’ এর তালে সিনেমা হলের ভেতরেই নাচ জুড়ে দিয়েছেন দর্শকরা। অনেক জায়গায় কেক কেটে সেলিব্রেট করা হয়েছে পাঠান রিলিজ।
দর্শকদের ভিড়, টিকিটের চাহিদা দেখে প্রথম দিনেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে শো। প্রথমে ৫২০০ টি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছিল পাঠান। কিন্তু মুক্তির পয়লা দিনেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আরো ৩০০ টি স্ক্রিন। গোটা বিশ্ব জুড়ে এখন ৮ হাজার স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে পাঠান। ফিল্ম সমালোচকরাও সবুজ সংকেত দিয়েছে ছবিটিকে। দাবি করা হচ্ছে, বছরের প্রথম ব্লকবাস্টার হতে পারে পাঠান।
https://twitter.com/SRKUniverse/status/1618142945118662656?s=20&t=GGnAAxm7RwcL48HXvdbaiA
তবে একদিকে যেমন উচ্ছ্বাস, সেলিব্রেশনের পরিবেশ, অন্যদিকে তেমনি বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ এখনো অব্যাহত। ইন্দোরের একাধিক সিনেমাহলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনির সঙ্গে চলছে হনুমান চালিশা পাঠ। সকাল সাতটার শো বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
গোয়ালিয়রে বজরং দল সহ অন্যান্য হিন্দু সংগঠনগুলি মাল্টিপ্লেক্সগুলির সামনে ধর্নায় বসেছে। পটনায় একদল ছাত্রের বিরুদ্ধে পাঠানের পোস্টার পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। মধ্যপ্রদেশেও বিক্ষোভ অব্যাহত। দর্শক সিনেমা হলে পৌঁছাতেই পারেনি বলে খবর। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে ভেবে সব জায়গাতেই পুলিসি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।