বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি ব্যর্থতা দেখেছেন, বছরের পর বছর। এবার সাফল্যের স্বাদ নেওয়ার পালা। বাদশাহি কামব্যাকের অপেক্ষায় ছিল দর্শকরা। ‘পাঠান’ সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়েছে। স্বমহিমায় ফিরে এসেছেন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। পাঁচ দিনে ৫০০ কোটিরও বেশি কামিয়ে ফেলেছে পাঠান। এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে রাখার পর অবশেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন শাহরুখ। পাঠান নিয়ে তো কথা বললেনই, সেই সঙ্গে শেয়ার করলেন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও।
পাঠানের আগে ২০১৮ তে মুক্তি পেয়েছিল ‘জিরো’। নামের সার্থকতা প্রমাণ করে বক্স অফিসে ভরাডুবি হয়েছিল ছবিটার। সে সময়ে কেমন অনুভূতি হয়েছিল শাহরুখের? কারণ তার আগেও পরপর ফ্লপ ছবি দিয়েছেন তিনি। কেরিয়ারের সবথেকে খারাপ সময়টার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে এদিন শাহরুখ বলেন, জিরো যখন দর্শকদের পছন্দ হল না, তখন তিনি ভেবেছিলেন যে তাঁর ছবি হয়তো আর মানুষের ভাল লাগবে না। তাঁর ছবি হয়তো আর ব্যবসা করতে পারবে না। তাই বিকল্প পেশাও খোঁজা শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। শাহরুখ জানান, তিনি রান্না শেখা শুরু করেছিলেন। ইতালিয়ান খাবার বানানো শেখা শুরু করেছিলেন। অভিনয় না হলে রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা ছিল কিং খানের।
লকডাউনের সময়কার কথাও উঠে আসে শাহরুখের মুখে। তিনি বলেন, অতিমারির সময়ে যখন সবকিছু স্তব্ধ হয়ে গেল তখন তিনিও থামার সুযোগ পেয়েছিলেন। ২ বছর ধরে কোনো কাজ করেননি তিনি। নিজের পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। চোখের সামনে বড় হতে দেখেছেন তিন ছেলে মেয়েকে।
এর আগেও মজাচ্ছলে বিকল্প পেশার উল্লেখ করেছিলেন শাহরুখ। কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনালে হাজির হয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন শাহরুখ। সেখানেই নিজেকে নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। শাহরুখকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি যদি অভিনেতা না হন তাহলে কী হতেন? কিং খান জবাব দিয়েছিলেন, তিনি যদি কোনোদিন অভিনয় ছেড়ে দেন, তবে ব্যবসার দিকে ঝুঁকবেন। এই বলেই মজা করে শাহরুখ বলেছিলেন, পাঠান ক্যাটারিং বা বাজিগর বেকারি কিংবা দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে মিষ্টির দোকান খুলতে পারেন তিনি।