বাংলাহান্ট ডেস্ক: অবসাদ এমনি একটা রোগ যা ধনী দরিদ্রের বিচার করে না। আমজনতা থেকে তারকা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সময়ে কম বেশি অবসাদের শিকার হয়েছেন। অনেকেই অন্যদের সচেতন করেছেন এ বিষয়ে। এই তালিকায় রয়েছেন দীপিকা পাডুকোনের মতো বলিউডের প্রথম সারির তারকা। দীর্ঘ একটা সময় অবসাদগ্রস্ত হয়ে কাটিয়েছিলেন তিনি। এমনি অবসাদ ধরেছিল স্বয়ং শাহরুখ খানকেও (shahrukh khan)!
কেরিয়ারের শুরুতে স্ট্রাগলের কথা বহুবার শোনা গিয়েছে কিং খানের মুখে। তেমনি এই অবসাদের কথাও চেপে রাখেননি তিনি। এ ঘটনা ২০১০ এর। কাঁধে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন বাদশা। লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল তাঁর। এ ঘটনায় গভীর অবসাদ ঘিরে ধরেছিল তাঁকে।
সংবাদ সংস্থা ANI এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানিয়েছিলেন, শারীরিক অসুস্থতা প্রভাব ফেলেছিল তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যেও। কিন্তু জোর করে নিজেকে অবসাদের মধ্যে থেকে তুলে ধরেন তিনি। ফের আগের মতো হাসিখুশি, প্রাণবন্ত থাকার চেষ্টা করেন। অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসার এই অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন শাহরুখ।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরো জানিয়েছিলেন, তাঁর রিল লাইফ ও রিয়েল লাইফের মধ্যে বিস্তর ফারাক। ছবিতে তাঁকে বেশি বর্হিমুখী চরিত্রে দেখা যায়। কিন্তু আদতে তিনি একেবারেই অন্তর্মুখী। শাহরুখের কথায়, “নিজের অন্তরের অনুভূতি প্রকাশ করতে হলেই আমি ফাঁপড়ে পড়ি। ব্যক্তিগত জীবনে আমি খুব লাজুক, শান্ত। আমি সহজে বন্ধুত্ব, ভালবাসা, রাগ এগুলো প্রকাশ করতে পারি না। এতে আমি গর্বিত নই, কিন্তু আমি এমনি। এর জন্য অনেকে আমাকে ভুলও বোঝে।”
প্রসঙ্গত, আগামী বছরেই শাহরুখের ‘পাঠান’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস শুটিং বন্ধ থাকায় তা আর সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। তাও নির্মাতারা আগামী জানুয়ারির মধ্যেই পাঠানের শুটিং শেষ করার পরিকল্পনা করছেন। তবে দক্ষিণী পরিচালক অ্যাটলির ছবির শুটিং অত তাড়াতাড়ি শেষ করা সম্ভব হবে না। কারণ সেখানে কাজ বেশি। দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে। ২০২২ এর বেশিরভাগটা জুড়েই শুটিং হবে ছবির। তারপর শেষের দিকে হয়তো মুক্তি পেতে পারে ছবিটি।