বাংলাহান্ট ডেস্ক: শাহরুখ খান (shahrukh khan), নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গালে টোল পড়া একটা হাসি বা ম্যান্ডোলিনের সেই অতি পরিচিত সুর অথবা দুহাত ছড়িয়ে সেই ‘আইকনিক’ পোজ। কি ঠিক বললাম তো? সাধে কি তাঁর নাম হয়েছে কিং খান? তবে এই নামটার সঙ্গে শুধুই যে সাফল্য জড়িয়ে আছে তা কিন্তু নয়। ওই মানুষটাকেও বহু চড়াই উতরাই পেরোতে হয়েছে। তারপর তিনি হয়েছেন বলিউডের বাদশা।
তবে জনপ্রিয়তার চূড়ায় থাকলেও শাহরুখের নামের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে বেশ কিছু বিতর্ক। একবার এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার জন্য গ্রেফতার হতে হয় শাহরুখকে। তাঁর নামে ভুয়ো খবর ছাপার জন্য ওই সাংবাদিকের যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়ার হুমকি দেন অভিনেতা।
এই ঘটনা প্রায় বছর পঁচিশ আগের। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় শাহরুখ খান দীপা শাহি অভিনীত ‘মায়া মেমসাব’। বলিউডে তখন সবে সবে পদার্পণ করেছেন শাহরুখ। পরিচালক কেতন মেহতার এই ছবিটি ছিল ‘এ গ্রেডেড’। ছবিতে দীপা শাহির সঙ্গে শাহরুখের শয্যাদৃশ্যটি নিয়ে সেই সময়ে তুমুল চর্চা হয়েছিল।
সেন্সর বোর্ড বাধ্য হয়ে দৃশ্যটিতে কাঁচি চালায়। কিন্তু তাও ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে যায় সেই দৃশ্য। এমন অবস্থায় সিনে ব্লিটজ নামে একটি পত্রিকায় সাংবাদিকের নাম ছাড়াই একটি খবর ছাপা হয়। সেখানে বলা হয়, এই বিশেষ দৃশ্যটি শুট করার আগে পরিচালক কেতন মেহতা শাহরুখ ও দীপাকে বলেছিলেন কোনও হোটেলের ঘরে রাত কাটাতে যাতে ক্যামেরার সামনে দৃশ্যটি শুটিং করতে কোনও অসুবিধা না হয়।
খবরে আরও বলা হয়, পরিচালকের কথা মতোই কাজ করেছিলেন শাহরুখ ও দীপা। শুটিং সেটে শুধুমাত্র পরিচালক কেতন মেহতা ও ডিওপির উপস্থিতিতে হয় দৃশ্যটির শুটিং। ভুয়ো খবরটি ছাপতেই প্রচন্ড রেগে যান শাহরুখ ও এই ছবির পরিচালক প্রযোজকরা।
এক অনুষ্ঠানে সিনে ব্লিটজের সাংবাদিক কিথ ডিকস্টাকে আক্রমণ করেন শাহরুখ। ওই খবরটি তিনিই লিখেছেন ভেবে তাঁকে তীব্র অপমান করেন তিনি। এমনকি সাংবাদিকের বাড়িতে ফোন করে তাঁর গায়ে হাত তোলা ও যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়ার হুমকিও দেন শাহরুখ।
ওই পত্রিকার সম্পাদক এবং কিথ মিলে অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে শাহরুখকে গ্রেফতার করে বান্দ্রা পুলিস। তবে তাঁকে জেলের ঘানি টানতে হয়নি। থানার মধ্যেই ভিআইপি সেবাযত্ন পেয়েছিলেন শাহরুখ। জানা যায়, থানা থেকেও কিথকে ফোন করে হুমকি দেন তিনি। নিজের সম্পর্কে ভুয়ো খবর কিছুতেই সহ্য করতেন না অভিনেতা।
শাহরুখের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চাঙ্কি পাণ্ডের ভাই চিকি পাণ্ডে তাঁর জামিন করান। পরে সিনে ব্লিটজের অপর এক সাংবাদিক শাহরুখকে বোঝান ওই খবরটি তিনি লেখেননি। নিজের ভুল বুঝতে পেরে কিথের কাছে ক্ষমাও চান শাহরুখ খান।