ফুলশয্যার রাতে শাখা-পলা খুললে দাম্পত্য জীবন নাকি কখনও সুখের হয় না! ভাবছেন এই কথাগুলো আজকের দিনে দাঁড়িয়েও কেউ মানেন। কেউ মানুক বা না মানুক বাবা মা, ঠাকুমা, পিসি, মাসি তারা মেনেই তাকেন। তাদের মতে শাখা পলাতে স্বামীর আয়ু থাকে। কিন্তু কেন এমনটা বিশ্বাস করা হয় , সেই নিয়ে আছে নানা কথা নানা মত । অনেকেই বিএর পর শাখা পড়েনা। আজকাল মেয়েরা সাজগোজের জন্য বেশির ভাগসময়েই সিদুর সাখা পড়েনা।
তবে জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে মুক্ত চন্দ্রের প্রতীক, আর মুক্ত ব্যবহার করলে মাথা ঠাণ্ডা থাকে, রূপ লাবন্য বৃদ্ধি পায়, মানসিক বিষন্নতাও দূর হয়। মেয়েদের মাথা ঠাণ্ডা রেখে সুখে সংসারধর্ম পালন করতে সাহায্য করে শাখা । অশুভ মঙ্গলের প্রভাব থেকে বাঁচতে জ্যোতিষীরা লাল রং-এর প্রবাল পাথর যা রক্ত প্রবাল নামে পরিচিত তা ব্যবহার করতে বলেন। অনেক মেয়েরাই তাই সোনা দিয়ে বাধিয়ে বিভিন্ন নকশা করে সুন্দর করে হাতে শাখা পলা পড়ে তাকেন।শুধু লাল রং-এর পাথরই নয়, লাল বর্ণের যে কোনও বস্তু বা পোষাক পরলেও মঙ্গলের অশুভ প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই পুজোতে অনেকেই লাল পড়ে তাকেন । কনো শুভ কাজে অনেকেই লাল পোশাক পরে থাকেন। হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের পলা পরতে বলা হয়ে তাকে ।
আর বিয়ের দিন তাই তাদের শাখা পলা পড়ানো হয়। আবার এই পলা মানুষের ধৈর্য, সাহস, মনোবল বাড়িয়ে দেয়। অনেকে শাকা আর পলাকে আংটি হিসেবেও পড়ে ত্থাকেন। তারা আঙ্গুলে বা গলায় তা ধারন করে থাকে । আর জ্যোতিষ শাস্ত্রে মঙ্গলের দশা চললে জীবনে নানারকম দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। তাই অনেকেই ছোট বেলা থেকে এসব রত্ন ধারন করে থাকে পাশাপাশি তারা সোনা দিয়ে সুন্দর করে বাধিয়ে তা সাজগোজের একতা ওঙ্গ হিসেবেও অনেক সময়ে ধারন করে থাকে।