বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা খেলোয়াড় এবং বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে এক বছরের জন্য নির্বাসিত করল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। আইসিসির তরফ থেকে জানানো হয়েছে সাকিব আল হাসানের অপরাধ হচ্ছে কিছুদিন আগে জুয়াড়িরা তাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও তাকে যে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সেটি তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অথবা আইসিসি কাউকেই জানায় নি। আর এই অপরাধের জন্যই এক বছরের জন্য নির্বাচিত করা হল বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।
আইসিসি তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে 2020 সালের 29 নভেম্বর পর্যন্ত কোন রকম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন না সাকিব আল হাসান। এর ফলে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়া মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি, তার সাথে সাথে আগামী বছর আইপিএল-এ খেলতে পারবেন না সাকিব আল হাসান। এছাড়াও আইসিসির তরফ থেকে জানানো হয়েছে এক বছর নির্বাসনের পরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেও আইসিসির কড়া নজরের মধ্যে থাকতে হবে সাকিবকে।
এছাড়াও আইসিসি জানিয়েছে যে প্রথম বছরে নিষেধাজ্ঞায় কোন রকম ভুল করলে বা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে আরও এক বছর অর্থাৎ দু বছরের জন্য সাকিবকে নির্বাসিত করবে আইসিসি। এই ব্যাপারে সাকিব জানিয়েছেন যে গত বছর যখন দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবোয়ে কে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছিল বাংলাদেশ সেই সময় তাঁর কাছে আসে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দেন, তারপর যখন আইপিএলে হায়দ্রাবাদ হয়ে খেলছিলেন সাকিব সেই সময় ফের তার কাছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে জুয়াড়িরা। কিন্তু সেবারও তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন। সেই সাথে সাকিব জানিয়েছেন যে আমার উচিত ছিল সমস্ত ঘটনাটা আইসিসিকে জানানো কিন্তু সেই সময় আমি জানিয়ে উঠতে পারিনি তাই সমস্ত অভিযোগ অর্থাৎ তথ্য গোপন করার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তারপরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত সাকিব দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সবসময় তার পাশে আছে। সেই সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সাকিব আল হাসান এর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে সাকিব দোষ করেছিল এবং সেই দোষ তিনি স্বীকার করেছেন তাই আমাদের উচিত তার পাশে দাঁড়ানো।