বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত জয়ের পর আজ কার্যত তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই আত্মবিশ্বাসে বিরাট ধাক্কা লাগল বিরাট বাহিনীর। দিনের শুরুতেই টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরাট, কার্যত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় সেই সিদ্ধান্ত। অ্যান্ডারসনের দুরন্ত আক্রমণে প্রথম পর্বেই ভেঙে পড়ে ভারতের টপ অর্ডারের কোমর। রাহুল, পুজারা কিম্বা কোহলি আজ ক্রিজে সকলেই ছিলেন ক্ষণিকের অতিথি।
রোহিত কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন বটে কিন্তু ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় ওভারটনের বলে তিনি আউট হতেই ভেঙে পড়ে ভারতের সমস্ত প্রতিরোধ। পান্থ, জাদেজা, রাহানে কেউই আজ ভারতকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া থেকে আটকাতে পারেনি। যার জেরে মাত্র ৭৮ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট তুলে নেন অ্যান্ডারসন এবং ওভারটন, দুটি করে উইকেট তুলে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন স্যাম ক্যুরান এবং অলি রবিনসন।
কার্যত মেন ইন ব্লুর এই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে আজ কোন ভুল করেননি ইংল্যান্ডের ওপেনাররা। যে পিচে দাঁড়াতেই রীতিমতো অসুবিধার মুখে পড়েছিল ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। আজ সেই পিচেই ভারতীয় বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারি দেখাতে শুরু করেন বার্ন্স-হামিদ জুটি। তাদের সুন্দর শতরানের পার্টনারশিপের সৌজন্যে বিনা উইকেটেই ভারতের স্কোরকে অতিক্রম করে ইংল্যান্ড। বার্ন্স হামিদ আজ দুজনেই পিচে ছিলেন একই রকম স্বচ্ছন্দ। তবে আক্রমণভাগে আজ বেশি মুখর ছিলেন হামিদই।
যদিও ৪৭ রানের মাথাতে বুমরার বলে আজ হামিদকে জীবন দান দিয়ে তাকে অর্ধশতরানও পূর্ন করার সুযোগ করে দেন রোহিত। কিন্তু কার্যত তিনটি টেস্ট মিলিয়ে দেখতে হলে এটিই ছিল ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ওপেনিং পার্টনারশিপ। হামিদ কিছুটা সুযোগ দিলেও অন্যদিকে অবশ্য ভারতকে কোন সুযোগ দেননি ররি বার্ন্স। ১২৩ বলে ৫ টি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে ঝাঁ-চকচকে হাফসেঞ্চুরি পূর্ন করেন তিনি। আপাতত দিনশেষে বিনা উইকেটে ১২০ রান সংগ্রহ করেছে ইংল্যান্ড। ভারতের থেকে এই মুহূর্তে তারা এগিয়ে ৪২ রানে। একদিকে যেমন এগারোটি চার দিয়ে সাজানো মারকুটে ৬০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত রইলেন হামিদ, অন্যদিকে কাল তাকে সঙ্গ দেবেন সতীর্থ ৫২ অপরাজিত বার্ন্স।