বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাজেট আবহের মধ্যেই আরও একবার সামনে এলো পেগাসাস বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, প্রাপ্তি শুন্য এই বাজেট কেবলই এক পেগাসাস স্পিন বাজেট। যা নিয়ে কার্যতই জল ঘোলা রাজনৈতিক মহলে। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে মমতাকেও একহাতে নিয়েছে বিজেপি। তাদের পালটা অভিযোগ, কেন্দ্র নয়, বরং তার বহু আগে থেকেই পেগাসাসে যুক্ত রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার নির্মলা সীতারামনের বাজেট পেশ হবার পরই এই বাজেটকে অর্থহীন বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই ই নয়, এর পাশাপাশি পুরো ব্যাপারটিকেই তিনি পেগাসাসের সঙ্গে জড়িত আখ্যা দেন। এর পরই নবান্নের দিকে এই ইঁটের বদলে পাটকেল ছোঁড়েন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে দুবার ইজরায়েল গেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের এক পুলিশ অফিসার। তাঁর অভিযোগ সেই পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে পেগাসাস কান্ডে যুক্ত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সব কিছুতে পেগাসাস টেনে আনা হচ্ছে কেন? সেদিন তো একজন বলছিলেন কলকাতার এক পুলিশ অফিসার ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে দুবার ইজরায়েল গিয়েছিলেন। একটি বিশেষ সফটওয়্যার কেনার জন্য কলকাতায় একটি রাশিয়ান সংস্থার সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। সেগুলো সামনে আসুক আগে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেগাসাস নিয়ে এই রাজ্য প্রথম তদন্ত কমিশন গড়েছিল। এসব আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এবার সেই শাক ঢাকার চেষ্টা করুক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ‘
সম্প্রপ্তি নিউইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্টে পেগাসাসকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় দেশে। অভিযোগ ওঠে ২০১৭ সালে ইসরাজেলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা চুক্তির সময়ে বিপুল টাকার বিনিময়ে অতি আধুনিক ক্ষমতা সম্পন্ন গুপ্তচর সফটওয়্যার পেগাসাস কেনে কেন্দ্র। এই নিয়ে দেশে জল ঘোলাও হয় বিস্তর। ঘোলা জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধিও। যদিও পুরো ব্যাপারটিই চেপে যাওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের।