বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার ইডির (ED) কাছে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলীর তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Santanu Banerjee)। তারপর থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা লেনদেনের নানা খবর সামনে উঠে আসে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বেআইনি নিয়োগই নয় বিভিন্ন সরকারি কর্মীদের ট্রান্সফার পোস্টিংয়েও (Transfer and Posting) চলত মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন। এমনই বিস্ফোরক দাবি ইডির।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ট্রান্সফার ও পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করতেন এই শান্তনুরা। নির্ধারিত ছিল আলাদা আলাদা ‘রেট –চার্ট’। চাকরি পেতে শান্তনুর কাছে সুপারিশ করতেন তৃণমূলের সদস্যরা, সেই সুপারিশ শান্তনু মারফত পৌঁছে যেত ওপর মহলে। জেরায় একথা খোদ শান্তনু স্বীকার করেছে বলে দাবি ইডির।
যুবনেতা শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ট্রান্সফার ও পোস্টিংয়র সুপারিশের বহু চিঠি। পাশাপাশি মিলেছে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকাও। যার মধ্যে প্রায় ২০ জনের চাকরির ব্যবস্থা শান্তনু করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হুগলিতে নিজের অফিসে বসে শান্তনু সেই সব আবেদন পত্র গ্রহণ করতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শান্তনু স্বীকার করেছেন, চাকরিপ্রার্থী ছাড়াও অনেক তৃণমূল সদস্য চাকরি পেতে নিজেদের নথি তৃণমল নেতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে কোন কোন নেতাদের কাছে সেসব নথি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনও কিছু বললেননি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে জেরা করে সেই নেতাদের নামের নাগাল পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি-র তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের দাবি নিয়োগের মতোই বদলির ক্ষেত্রেও সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেলাগাম দুর্নীতি চলত।
কত সম্পত্তি রয়েছে শান্তনুর? ইতিমধ্যেই ধৃত যুবনেতা শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। হুগলির জিরাটে বাড়ির কাছে ধাবা ও হোম স্টে রয়েছে শান্তনুর। বারুইপাড়ায় রেস্তঁরার পাশাপাশি সেখানেও একটি ধাবা রয়েছে। এইসব রিসর্ট, হোম স্টে খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টায় ছিল শান্তনু। এমনটাই অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
অন্যদিকে, রাজারহাট নিউটাউনে রয়েছে ফ্ল্যাট ও জমি। বলাগড়ে গঙ্গার ধারে বিশাল রেস্তঁরা রয়েছে। বলাগড়ে গঙ্গার ধারে বিশাল রিসর্ট রয়েছে নেতার। বলাগড় স্টেশন ও জিরাটে বহু জমি রয়েছে শান্তনুর। চুঁচুড়ায় ফ্ল্যাট রয়েছে তার। এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি দামী গাড়ি। নামে বেনামে বহু জমি রয়েছে চুনোপুটি নেতা শান্তনুর, এমনটাই দাবি ইডির।