সমস্ত জল্পনার অবসান! তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নাকি নিজেই জানালেন শান্তনু ঠাকুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরে বনগাঁর বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে (Shantanu Thakur) নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি মহলে জোর জল্পনা চলছিল। তিনি বিজেপিতেই থাকছেন না তৃণমূলে যোগ দেবেন সেটা নিয়ে উঠেছিল অনেক প্রশ্ন। এবার সব জল্পনার অবসান ঘটালেন নিজেই। আজ হুগলির চুঁচুড়ার সুকান্ত নগরের মাঠে মতুয়া মহাসঙ্ঘের জনসভায় তিনি জানিয়ে দিলেন যে আগামী দিনে তিনি কি করতে চলেছেন।

shantanu thakur 455

শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আমি নাগরিকতা সংশোধন আইনের পক্ষে। লোকসভায় CAA-র হয়ে ভোট দিয়ে বিল পাশ করিয়েছি। আর এতদিন ধরে যারা এই বিলের বিরোধিতা করে আসছে, তারা এখন আমাকে নিজের দলে টানতে চাইছে! তারা আমাকে কি করে তাঁদের দলে চায়?” তিনি বলেন, আমি একটা বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছি যে, ১৯৭১ সালের পর যারা ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকতা পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমি আন্দোলন করে এসেছি। যারা এই আইনের বিরোধিতা করছে, তাঁদের কাছে যাওয়ার প্রশ্ন আসে কি করে?

তিনি বলেন, যারা প্রথম থেকেই সিএএ-এর বিরোধিতা করছে, যারা এখনো বুক বাজিয়ে বলছে আমরা ক্ষমতায় থাকলে এই আইন লাগু হতে দেব না! তাঁদের দলে আমি থাকি কি করে? তিনি বলেন, আগে ওঁরা বলুক ওঁরা সিএএ সমর্থন করে, রাজ্যে সিএএ লাগু করবে, তখন আমি ভেবে দেখব কি করা যায়। এই বিষয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘আমি মমতাবালা ঠাকুর আর শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে পারি।”

শান্তনু ঠাকুর এদিনের জনসভা থেকে বলেন, আমার কেন্দ্র সরকারের কাছে একটাই প্রশ্ন, সেটা হল সিএএ লাগু কবে হবে? কাদের জন্য এই আইন আটকে রয়েছে? তিনি বলেন, যদি কিছু সংখ্যক সংখ্যালঘু রাজ্যে হিংসে ছড়িয়ে ভাবে যে তারা সিএএ লাগু করতে দেবে না, তাহলে আমরা নমঃশূদ্রও কম নেই এখানে। তিনি বলেন, আমি কেন্দ্র সরকারকে আস্বস্ত করছি যে, অশান্তি হলে সেটা প্রতিরোধ করার মত ক্ষমতা আমাদের কাছে আছে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর